মাঘের প্রথমভাগে সারাদেশে আবারও শীতের দাপট বেড়েছে। পাশাপাশি বইছে হিমেল হাওয়া। মূলত বহমান এ বাতাসের জন্য শীত আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) পঞ্চগড়ে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া উত্তরের কয়েক জেলায় গত দু’তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মাঝারি-ঘনকুয়াশার কারণে সূর্যের তাপ না থাকায় সারাদেশ জুড়েই শীতের অনুভূতি আগের চেয়ে বাড়বে। এমনকি কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও ঠান্ডা অনুভূতি বজায় থাকবে।
এমন অবস্থা আগামী কয়েকদিন চলমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সংস্থাটি জানিয়েছে, ঢাকায় হয়তো দুপুর নাগাদ কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থা হবে। তবে বিকেল থেকেই শীতের অনুভূতি আবারও বাড়বে। তাছাড়া উত্তরাঞ্চলে আজ সূর্যের দেখা না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদফতর থেকে প্রকাশিত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরিবেশ প্রধানত শুষ্ক থাকলেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা বিরাজ করতে পারে। আর আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এমন অবস্থায় পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, তীব্র শীতে কষ্টে দিন কাটছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের। ঠাণ্ডায় ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজ।
মধ্যাঞ্চলে নদী তীরবর্তী এলাকা দিনভর কুয়াশা থাকছে। ঘন কুয়াশার কারণে পাটুয়ারিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে গতরাত দেড়টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে ২টি ফেরি। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের।