সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা রবিবার

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

আগামী সপ্তাহের রবিবার অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

গত ৬ অক্টোবর গণশুনানিতে বিইআরসির কাছে পেট্রোবাংলা এবং গ্যাসের বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়। কমিশনের কারিগরি কমিটির প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণে কথা জানায়।

বিইআরসি সূত্র জানায়, গ্যাসের দাম ইউনিট প্রতি ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে কমবেশি ২৯ দশমিক ৫০ টাকা করা হতে পারে।

জানা যায়, বিইআরসি রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে সাড়ে ৩টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।

গণশুনানির সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেছিলেন, গ্যাসের দাম প্রশ্নে সবদিক বিবেচনা করে ভারসাম্য রক্ষা করা হবে। দাম বেড়ে গেলে সারের উৎপাদন খরচের বিষয়ে জনগণ চিন্তিত! অবশ্যই কৃষিকে বিবেচনায় নিতে হবে। জিডিপিতে কৃষির অবদান কম হলেও খাদ্যের নিরাপত্তা এবং বিশাল কর্মসংস্থানের বিষয়টি অবশ্যই ভাবনার রাখতে হবে। আবার এলএনজি আমদানির খরচের বিষয়গুলোও বিবেচনায় আনতে হবে।

এর আগে পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়, দাম বাড়ানো হলে বাড়তি ৭ কার্গো এলএনজি আমদানি করে সারে সরবরাহ করা হবে। ৬ মাস (অক্টোবর-মার্চ) পুরোমাত্রায় (২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হবে। অবশিষ্ট ৬ মাসের মধ্যে এপ্রিল-মে ১৬৫ মিলিয়ন হারে, জুনে ১৭৫ মিলিয়ন এবং জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৩০ মিলিয়ন হারে গ্যাস সরবরাহ দেবে।

গণশুনাতিতে বিসিআইসির পরিচালক (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, ২০২২ সালে একইভাবে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর কথা বলে ৪.৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়, কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যায়নি, বরং অনেকখানি কমেছে সরবরাহ। তবে যদি পুরোমাত্রায় গ্যাস দেওয়া হয় তাহলে ২০ লাখ টনের উপরে সার উৎপাদন করা সম্ভব। আর ২০ লাখ টন সার উৎপাদন করা গেলে গ্যাসের ৩০ টাকা হলেও আমদানির তুলনায় কম দাম পড়বে। বছরে ৩০ থেকে ৩২ লাখ টন ইউরিয়া সার যোগান দিতে হয়। গ্যাসের অভাবে আমদানি করে ১৬ থেকে ২১ লাখ টন যোগান দিতে হয়।

তিনি বলেছিলেন, গ্যাসের দাম যদি ৩০ টাকা হয়, আর যদি ২০ লাখ টন উৎপাদন করতে পারি, তাহলে কেজি প্রতি সারের উৎপাদন খরচ পড়বে ৪৬ টাকার মতো। সেখানে আমদানিতে ৬১ টাকার মতো ব্যয় হচ্ছে। বর্তমানে গ্যাসের মিশ্রিত দর পড়ছে ২৮ টাকার মতো। অন্য যেকোন ক্ষেত্রের তুলনায় কৃষিতে দাম কম হওয়া উচিত। কারণ এরসঙ্গে খাদ্যের উৎপাদন জড়িত।

বর্তমানে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের উৎপাদন খরচ পড়ছে ৩৮ টাকার মতো। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৭ টাকা দরে। আর বিসিআইসি ডিলারদের কাছে বিক্রি করছে ২৫ টাকা দরে। এতে ট্রেড গ্যাপ কেজিতে ১৩ টাকা ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে।

Share This Article