সকলের সহযোগিতা নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করছি দাবি করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা কাউকে ছাড় দেব না। কেউ যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যতিক্রম কিছু ঘটাতে চায় তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রবিবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, বাস্তবতা হলো ভোটারদের সঙ্গে প্রার্থীদের সম্পর্ক ভালো নেই। ভোটার ছাড়া ভোট হয়ে যাবে, ওই দিন চলে গেছে। তাই প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যান, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করেন। তাদের কাছে টেনে নেন। তাদের ভোটেই আপনাকে নির্বাচিত হতে হবে। সেই সঙ্গে ভোট নিরপেক্ষ করতে প্রতিটি কেন্দ্রে অবশ্যই আপনার এজেন্ট নিশ্চিত করতে হবে। সেই দায়িত্ব প্রতিটি প্রার্থীকে সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো সংসদ সদস্য বা প্রভাবশালী ব্যক্তি নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচন কমিশনকে দুর্বল ভেবে কেউ বল প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন না। এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।’
এজেন্ট নিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীকে তার এজেন্ট নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক প্রার্থীকে এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে এবং সচেতন ব্যক্তিকে এজেন্ট নিয়োগ করতে হবে। এজেন্টরাই প্রতিটি কেন্দ্রে অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করবেন। এজেন্ট শেষ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করবেন এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত ফলাফলের তালিকা হাতে নিয়ে তবে কেন্দ্র ত্যাগ করবেন।’
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘যারা নির্বাচনী আইন মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনি ব্যবস্থা নেবে। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে কোনো রকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। এখন পর্যন্ত অনেকের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিভিন্ন কথা তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. কামরুল ইসলাম।