সোনাইমুড়ীতে লেদা বাহিনীর হামলায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বিদেশ ফেরত হানিফ

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

সোনাইমুড়ীর মোটুবী গ্রামে লেদা বাহিনীর প্রধান নুর হোসেন লেদা ও তার বাহিনীর হামলায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে প্রবাসী হানিফ

লেদা বাহিনীর লেদা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা হানিফ ও তার অন্যান্য তিন ভাইয়ের জায়গা দখল করে গত দশ বছর ধরে ঘর তুলে অবৈধ দখল করে রাখে। প্রবাসী হওয়ার কারণে তাদের স্ত্রীদের একাধিকবার মারধর করে এবং তারা প্রতিকার চেয়ে মামলা করলে লেদা বাহিনীর হুমকিতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় হানিফের অপর তিন ভাই জাফর, জসীম ও আমির হোসেনের পরিবার গ্রামের বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। হানিফ বিদেশ থেকে শূন্য হাতে ফেরত আসায় এবং ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য ব্যাধীতে অসুস্থ থাকায় গ্রামে পরিবার নিয়ে কোনমতে দিনাতিপাত করছে। কিন্তু লেদা বাহিনী তাদের অন্যান্য সম্পত্তি দখলের নেশায় তাদেরকে বাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিতে থাকে।
গত ২৫ জুলাই বিকেল বেলা লেদা বাহিনীর প্রধান লেদার নেতৃত্বে তার অপরাপর দুই ছেলে মহসীন, জুয়েল এবং আরো কিছু দুষ্কৃতকারী সহ হানিফের বাড়ীর উঠোনে অতর্কিত হামলা করে। এতে রামদার কোপে হানিফের মাথা, হাত,পিঠ এবং পায়ে মারাত্মক যখমের সৃষ্টি হয়। আশেপাশের লোকজন হানিফকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে। অবস্থা গুরুতর বিধায় জেলা হাসপাতাল জরুরী চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়।
হানিফের পক্ষে তার ছেলে সোনাইমুড়ী থানায় অভিযোগ জানালে সোনাইমুড়ী থানা দ্রুত প্রধান আসামি লেদা বাহিনীর প্রধান লেদাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার নামে থানায় একাধিক মারামারি, অন্যের জমি দখল, হত্যা চেষ্টা এবং নারী নির্যাতন মামলা রয়েছে।
লেদা বাহিনীর প্রধান লেদার গ্রেফতারে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি নেমে আসে এবং পুলিশকে ধন্যবাদ জানায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী দাবি করেন তাকে যেন উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হয়।

Share This Article