
সত্যিই কি গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায় ইসরায়েল? নাকি আপাতত যুদ্ধ বন্ধ রেখে জিম্মিদের ফিরিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা এটি? যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি রূপরেখা অনুসারে সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদও বাড়িয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। চুক্তি অনুযায়ী, জিম্মি হস্তান্তরের পর দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী সমাধানের কথা বলা হলেও তাতে নজর নেই ইসরায়েল ও মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্রের। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাবনার বিরোধিতা জানিয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চেয়েছে হামাস।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস-ইসরায়েল। দুই ধাপে ৮৪ দিনের যুদ্ধবিরতির মধ্যে প্রথম ধাপের ৬ সপ্তাহ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কথা ছিল। এখন প্রথম ধাপকে আরও দীর্ঘায়িত করে জিম্মি হস্তান্তর চালিয়ে যেতে চায় ইসরায়েল।
এখন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নতুন রূপরেখা ধরেই এগোতে চায় ইসরায়েল। যার অর্থ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নয় জিম্মিদের ঘরে ফেরানোই তাদের মূল লক্ষ্য।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। সে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি রূপরেখাই ইসরায়েল গ্রহণ করবে। রমজান আর পাসওভার উৎসবকে সামনে রেখে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতেই প্রস্তাবনা দিয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আলোচনার জন্য যে অতিরিক্ত সময়টুকু দরকার তা এই রূপরেখার মাধ্যমে সম্ভব। স্থায়ী সমাধান খুঁজতে এটা দু’পক্ষের আলোচনার সুযোগ হিসেবেও দেখা যেতে পারে।
মার্কিন প্রস্তাবনা কার্যকর হলে প্রথম দিনেই বাকি জিম্মির অর্ধেক ফিরিয়ে দিতে হবে হামাসকে। হস্তান্তর করতে হবে মরদেহও। আর স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাকি জিম্মিদেরও ছেড়ে দিতে হবে এক ধাপেই। কিন্তু, সব জিম্মি হস্তান্তরের পর আবারও যে আগ্রাসন শুরু হবে না উপত্যকায়, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। উল্টো প্রস্তাবনার সাফাই নেতানিয়াহুর মুখে।
উল্লেখ্য, তেলআবিবের দাবি- এখনও হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছে ৫৯ ইসরায়েলি। যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত, বাকিরা মৃত।