জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরে যুবদল নেতা সোহেলের নামে একটি ভূয়া অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জামালপুর জেলা কেন্দ্রিক কয়েকটি ফেইসবুক আইডি থেকে এই অভিযোগ ছড়ানো হয়।
সোহেল রানা খান জামালপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব পদে রয়েছে।
ভূয়া অভিযোগটিতে লেখা হয়- মোহাম্মদ সোলায়মান ইসলাম নামের এক ব্যক্তি দাবি করেছেন যুবদল নেতা সোহেল রানা খান সিংহজানী মৌজার একটি জমিতে দেয়াল নির্মান করে তার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে জমির একটি ভাগ লিখে দিতে বলেন।
তবে মোবাইল ফোনে মোহাম্মদ সোলায়মান ইসলাম বলেন-‘এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীণ এবং অভিযোগে আমার স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে। আমি এমন কোনো অভিযোগ লিখি নিই বা কাউকে দেয়নি। সোহেল রানা খানের সাথে আমার এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। কে বা কাহারা সামাজিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই কাজ করেছে তা আমি জানি না। আমি অতি দ্রæত সময়ের মধ্যে এই বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করবো এবং এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
অভিযোগে উল্লেখ করা শহরতলীর মনিরাজপুরের সেই জমিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- ১০০ শতাংশ জমির একটি প্লটের আগে দুইটি দেয়াল নির্মান করা হয়েছে। দেয়াল নির্মানকারী হালিমা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন-‘ আমার জমিতে আমি দেয়াল নির্মান করেছি। আমি কারো প্ররোচনায় পড়ে দেয়াল নির্মান করিনি। এছাড়া এখানে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিও জড়িত না। উল্টো কে বা কারা এসে সম্প্রতি আমার এই দেয়াল রাতের আধারে ভাংচুর করেছে। আমি আবার দেয়াল ঠিক করেছি। এখন, আমার জমি, আমার ইচ্ছা। আমি দেয়াল করবো নাকি কাকে যেতে দিবো সেটা আমার বিষয়।’
এসব বিষয়ে জামালপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সোহেল রানা খান বলেন-‘আমার নামে ফেসবুকে যে অভিযোগটি ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি সম্পূর্ণ ভূয়া, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এই কাজের সাথে জড়িত না। আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কে বা কাহারা এই কাজ করেছে। আমি অতি দ্রুত এই বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করবো। আমি এর বিচার চাই।’