
নড়াইল সদর উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর আমিনুল বিশ্বাস ওরফে আলিফ (১৫) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের দেবভোগ নুড়িতলার বিলের কচুরিপানা নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত আমিনুল বিশ্বাস নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের ছোট মিতনা গ্রামের কিনায়েত বিশ্বাসের ছেলে। সে পেশায় ভ্যান চালক ছিলো।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাজেদুল ইসলাম বার্তা বাজারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের স্বজনরা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে আমিনুল বিশ্বাস ওরফে আলিফ তার বাবাকে বাজার করার জন্য টাকা দেন। এরপর এক ব্যক্তির ফোনে পেয়ে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ওই রাতে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবার ও স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন। রবিবার (৫ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগীর মা রোজিনা বেগম সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে নড়াইল সদর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সহ পুলিশের একাধিক টিম নিখোঁজের সন্ধানে মাঠে নামেন।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকী নিখোঁজ কিশোর আমিনুলের বাড়িতে যান। পরে সন্দেহ ভাজন সদর উপজেলার চাচড়া গ্রামের বাহারুল বিশ্বাসের ছেলে মিনারুল বিশ্বাসকে(২২) আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অভিযুক্তের দেয়া তথ্যে একই উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের দেবভোগ নুড়িতলার বিলের কচুরিপানা নিচ থেকে নিহত আমিনুলের অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের বাবা মা ঘটনাস্থলে এসে তার পরিচয় সনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই আলম সিদ্দিকী বার্তা বাজারকে বলেন, নিখোঁজ জিডির তথ্য পেয়ে ভিকটিমের সন্ধানে একাধিক টিম অনুসন্ধান চালাই। সন্দেহভাজন মিনারুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেই মরদেহটি সন্ধান দেয়। আমিনুলের হত্যার কারন ও এ ঘটনার সাথে কাদের সম্পৃক্ততা আছে জানতে আমাদের তদন্ত চলমান আছে। পরিকল্পিত এ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।