মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার বুকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে বিজয়ের লাল সূর্য উদিত হয়েছিল। আর যতদিন লাল-সবুজের পতাকা উড়বে বাংলার আকাশে ততদিন আমাদের মাঝে তিনি বেঁচে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও শোকের দিনে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভাবনা তুলে ধরেছেন মোঃ ফাহিম আল হাসান।
" এই বাংলার আকাশ বাতাস
সাগর-গিরি ও নদী
ডাকিছে তোমারে বঙ্গবন্ধু
ফিরে আসতে যদি। "
জাতির একজন মহান নায়ক, যাকে নিয়ে বললে হয়তো মহাকাব্য রচনা হয়ে যাবে। যিনি মুক্তিযুদ্ধের ২০ বছর আগেই দেখেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের সপ্ন। তিনি আর কেউ নন। তিনি আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।১৯৭১ সালের ১৫ই আগষ্ট একটি কালো রাত নেমে আসে।বিপথগামী সেনার ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে যান বঙ্গবন্ধু। সপরিবারে খুব নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে।বাংলার মানুষ হারান এপার বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান শেখ মুজিবকে।কিন্তু তিনি যে অমর। বঙ্গবন্ধু একটি চেতনার নাম।তিনি জাগ্রত আছেন প্রতিটি হৃদয়ে।বার্লিনে একজন ভায়োলিন বাদক আমার কাছে যখন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল,আমি তখন বুক পকেট থেকে দশ টাকার একটা নোট বের করে শেখ মুজিবের ছবি দেখিয়ে বলেছিলাম,দেখো এই আমার বাংলাদেশ। তিনি আজ আমাদের মাঝে না থাকলেও তিনি রয়ে গেছেন লক্ষ কোটি বাঙালির হৃদয়ে।
-যতকাল রবে পদ্মা যমুনা
গৌরী মেঘনা বহমান,
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।
"জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু। "
আসমা খানম
শিক্ষার্থীঃ
বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি,
গণ বিশ্ববিদ্যালয়।
অবিচ্ছেদ্য ও অনাকাঙ্ক্ষিত একটি নির্মম ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশ একজন আদর্শিক নেতা ও পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তানিরা চেয়েছিল, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে নিঃশেষ করতে পারলে পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্য ডুবে যাবে। তাদের ধারণা বাস্তবায়ন করলেও স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার একটি দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নজয়ী সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর ই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৫ আগস্টের সকল শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে, বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
মোঃ আনসারুজ্জামান সিয়াম।
শিক্ষার্থীঃ ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস
গণ বিশ্ববিদ্যালয়।
৫ই আগস্ট - যা হারিয়েছি
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোর ৫.৪০ মিনিটে পৃথিবীর ইতিহাসে যিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্ধুদ করেছিলেন সেই অবিসংবাদিত জন্মনেতা, বাঙালি জাতির জনক ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাবা রোথ মুজি বুর রহমান সপরিবারে ধানমতির নিজ বাসার সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপঞ্চামী ও উচ্ছৃঙ্খল অফিসার ও সৈনিকের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। মাত্র দশ বছরের শেখ রাসেল রক্ষা পায়নি আমানুষ সাতক দলের হাত থেকে। স্বাধীন বাং লাদেশ কে পুর্নগঠিত করতে বঙ্গবন্ধুর সে দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা ছিল অপরিসীম তা থেকে বাঙালি জাতি চিরদিনের মতো বঞ্চিত হয়েছিল। সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ পরিণত হয়েছিল মাঝিবিহীন নৌকার মনে ১৫ই আকাসের এই জঘন্য, ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড বাঙালি জাতি কখনো ভুলতে পারবে না। অসময়ে তাকে হারাতে হলেও তিনি থাকবেন ১৬ কোটি মানুষের অন্তরের অব স্থলে। এই দিনে আমরা যাদেরকে হারিয়েছি, যে ক্ষতি আমাদের হয়েছে তা অপূরণীয়। আজ ১৫ই আগষ্ট এই দিনে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রো তার ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে তাকে গভীর ভাবে স্মরণ করছি
এস.এম.এ. জামান আদনান
শিক্ষার্থীঃ ফলিত গণিত,
গণ বিশ্ববিদ্যালয়।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট মধ্য রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে স্বপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গোলাবর্ষণ করে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল।
শেখ মুজিবুর রহমান এটি শুধু এমটি নাম নয় এটি ইতিহাস। এমন ইতিহাস যার সাথে জড়িয়ে রয়েছে একটি জাতি গঠনের ইতিহাস। বাঙালি জাতি যখন পাকিস্তানি হানাদ বাহিনীর হাতে নির্যাতিন-নিপিড়িত-নিষ্প্রেষিত সেই সময় তিনি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন,দিয়েছিলেন অতুলনীয় নেতৃত্ব। যার বজ্রকন্ঠি আহ্বানে সাড়া দিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য আমজনতা ঝাপিয়ে পড়েছিলো স্বাধীনতা অর্জনের লড়ায়ে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সেই মহানায়ক কে ১৫ ই আগস্ট রাতে হত্যা করে বাংলার ইতিহাসে একটি কালো ও কলঙ্কিত অধ্যায়ের সুচনা করা হয়। তাই বাংলার মানুষ প্রতি বছররের এই দিনিটিতে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাদের মহান নেতাকে স্বরণ করে এবং প্রাণ খুলে আল্লাহর কাছে তার আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করি।
মুহাম্মদ মাহিদুজ্জামান সিয়াম
শিক্ষার্থীঃ ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ,
গণ বিশ্ববিদ্যালয়।
ঘাতকদের কাজ ঘিন্নিত থেকে গেল। মহান মানুষদের কাজ মহান রয়ে যাবে আজীবন। শোক বয়ে আনুক শান্তি। এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মহান পুরুষের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
লিখেছেন,
ফাহিম আল হাসান
শিক্ষার্থীঃ গণ বিশ্ববিদ্যালয়।