জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্বউদ্যোগে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার সময়সীমা গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে উপদেষ্টারা নিজেরা নিয়মিত আলোচনা করছেন। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করতে পারেন।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, আজকের বৈঠকে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও গণভোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সরকার চায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিশেষ করে গণভোট, উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব এবং নতুন সংসদের ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চরম মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। বিএনপিসহ কিছু দলের দাবি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করতে হবে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ আটদলীয় জোট চায় সংসদ নির্বাচনের আগেই নভেম্বরে গণভোট।
গত ৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে দলগুলোকে স্বউদ্যোগে সমঝোতায় পৌঁছতে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী বিএনপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও বিএনপি আলোচনায় বসতে রাজি হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দল নয়, সরকার ডাকলে তারা আলোচনায় অংশ নেবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গতকাল সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় বলেন, জুলাই সনদ ও গণভোট বিষয়ে সরকার শিগগির সিদ্ধান্ত জানাবে। সরকার একসঙ্গে বসে সামষ্টিকভাবে এই সিদ্ধান্তটা নেবে।