১৬বছর পরে পরীক্ষা কেন্দ্র ফিরে পেলো বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল এ্যান্ড কলেজ
প্রায় ১৬ বছর পর ৯ম শ্রেণী বোর্ড সমাপনী এবং এস.এস.সি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা কেন্দ্র ফিরে পেয়েছে বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল এ্যান্ড কলেজ। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভালো ফলাফলের কারণে বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল এ্যান্ড কলেজের সুনাম রয়েছে সর্বমহলে। অধ্যক্ষ আওয়ামী বিরোধী হওয়ায় অন্যায়ভাবে বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল এ্যান্ড কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র অন্যায়ভাবে বাতিল করে দেওয়া হয়। যার ফলে অত্র এলাকার কারিগরি শিক্ষার্থীরা কষ্ট করে সিংড়া উপজেলা সদরে গিয়ে পরীক্ষা দিতো।
৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে ৯ম শ্রেণী বোর্ড সমাপনী এবং এস.এস.সি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা কেন্দ্র ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ শেখ মোঃ রকিবুল ইসলাম বলেন, পলক ও আওয়ামীলীগের সমর্থক না হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে অন্যায়ভাবে অত্র প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করে দেওয়া হয়েছিলো। দীর্ঘদিন পরে পরীক্ষা কেন্দ্র ফিরে পেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।
উপজেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়নে কাজ করলেও এ বিদ্যাপীঠ সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ডিজিটাল ল্যাব বরাদ্দের জন্য নাম আসলেও বার বার সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক তা কেটে দিয়েছেন। ভবন বরাদ্দের দাবি জানিয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে নাটোর জেলায় সর্বপ্রথম আওয়ামীলীগের রোষানলে পড়ে চাকরি হারান বিএনপি সমর্থক অধ্যক্ষ রকিবুল। সে সময় সিংড়ার তৎকালীন এমপি জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সহযোগিতায় সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অধ্যক্ষ রকিবুলকে বে-আইনী ভাবে বরখাস্ত করেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের অসংখ্য মিথ্যা মামলায় ফলে কারাবরণ করতে হয় অধ্যক্ষকে।
দীর্ঘ চার বছর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে সরকারি আদেশকে বে-আইনী প্রমাণ করে আদালতের আদেশে অধ্যক্ষ রকিবুল পুর্নবহাল হন। এরপর থেকেই অধ্যক্ষের সাথে এক প্রকার যুদ্ধ চলেছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের। প্রতিমন্ত্রীর ডিও লেটার ব্যবহার করে পলক দুদক, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করে। প্রত্যেকটি অভিযোগই তদন্তের পরে মিথ্যা প্রমানিত হয়।