ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার শহীদ শমসের রোড (সিডস্টোর-সখীপুর সড়ক) এখন যেন খানা-খন্দের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কটির উন্নয়ন কাজের তিন বছর না যেতেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই গর্তে পানি জমে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিন। এতে বিকল হচ্ছে যানবাহন, আর জনসাধারণকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০২১ সালে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভালুকার সিডস্টোর থেকে সখীপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করে। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হতে শুরু করে। অভিযোগ উঠেছে, নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও তদারকির ঘাটতির কারণে এত দ্রুত সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে।
বর্তমানে সড়কের বাটাজোড়া মিলপাড়, আরএমটি জুট মিল ও চাঙেরপাড় এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব স্থানে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে বৃষ্টি হলে গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়, ফলে বোঝা যায় না কোথায় গর্ত আর কোথায় রাস্তা। এতে যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনায় পড়ছে প্রায়ই।
সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো পণ্যবাহী ট্রাক, শ্রমিকবাহী বাস, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সাধারণ মানুষ চলাচল করেন। রাস্তাটির এমন করুণ অবস্থায় তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
স্থানীয় এক গাড়িচালক অভিযোগ করে বলেন, “রাস্তায় এত গর্ত যে গাড়ি চালানোই মুশকিল। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়, তখন গর্ত বোঝা যায় না। অনেক সময় চাকা হঠাৎ নিচে পড়ে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ হলো, অথচ তিন বছরও টিকল না। এখন রাস্তাটা আগের চেয়েও খারাপ। দ্রুত সংস্কার না করলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নয়ন কাজের সময় সঠিকভাবে তদারকি না হওয়ায় রাস্তার মান নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। ফলে সরকারি অর্থ ব্যয় হলেও জনসাধারণ এর সুফল পায়নি।
এ বিষয়ে ভালুকা উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাফুজুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি জানি। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্রুতই জনগণের ভোগান্তি নিরসনে ওই সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শুরু করা হবে।