সালথায় পাট উৎপাদনে খরচের তুলনায় বাজারে দাম কম: দুশ্চিন্তায় চাষিরা

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

সোনালী আঁশে ভরপুর, ভালোবাসি ফরিদপুর। এবছ ফরিদপুরের সালথায় পাটের উৎপাদন খরচ বেশি। পাশাপাশি পাটের দাম কম থাকায় হতাশ চাষিরা। পাটের দাম বৃদ্ধি করার দাবি পাট চাষিদের।

জানা যায়, পাট ও পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলা। শুরু হয়েছে পাট কাটা ও পাটের আঁশ ছাড়ানো কাজ। গত বছরের তুলনায় এবছর পাটের ফলন অনেক কম। শুরু থেকে অনাবৃষ্টি ও প্রখর রোদে পাট সময় মতো বেড়ে ওঠেনি। যখন পাটের আঁশ মোটা হবে তখনি জোয়াড়ের পানি আসে নিচু জমিগুলোতে। তাই পাট উপযোগি হওয়ার আগেই কেটে ফেলা হচ্ছে।

এতে ফলন কম হচ্ছে। তবে ফলন কম হলেও পাটের খরচ কম হচ্ছে না। আগের চেয়ে বেশি খরচ হয়েছে কৃষকদের। সে তলনায় বাজারে পাটের দাম রয়েছে ২৫শ টাকা মন থেকে ৩২ টাকা মণ। মাঝারি ধরনের প্রতিমণ পাট যদি নিম্নে ৪ হাজার টাকা দাম হতো, তাহলে কৃষকরা কিছুটা স্বস্তি পেতো। পাটের দাম না বাড়লে কৃষকদের লোকসান গুণতে হবে।

উপজেলার পাটচাষি কাইয়ুম মোল্যা ও আবু বক্কার জানান, গতবছরের তুলনায় এবছর পাটের জমিতে খরচ বেশি। গেলো বছরের চেয়ে এবছর ফলন কম হচ্ছে। বাজারে পাটের চাহিদা কম, সেই সাথে দামও কম। সব মিলিয়ে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষকের দিকে তাকিয়ে পাটের দাম বৃদ্ধি করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।

পাট ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা পাট প্রতিমন ২৪শ টাকা থেকে ৩৩শ টাকা দরে কিনতেছি। পাটের মান বিভিন্ন রকম। তবে এবার পাটের ফলন কম। পাটের আঁশ পাতলা।

উপজেলা কৃষি অফিসার সুদর্শন সিকদার বলেন, এবছর সালথা উপজেলায় ১২ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার মেঃটন। বর্তমানে নিচু জমিগুলোতে পানি আসায় পাট কাটা ও আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। সেজন্য পাটের ফলন কিছুটা কম হচ্ছে। আর ১৫/২০ দিন পরে পাট কাটতে পারলে ফলন ভালো হতো। পাট উৎপাদণে এবার যে খরচ তাতে পাটের ন্যায্যমুল্যে হলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।

Share This Article