শৈশব থেকেই কম্পিউটার মোবাইলে আসক্ত ছিলো আবরার

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

শৈশব বয়সেই আবরার আসক্ত হয় কম্পিউটার মোবাইলে। আবরারকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। চেষ্টা চালিয়ে যায় আবরারকে কম্পিউটার মোবাইল থেকে দূরে রাখার। কিন্তু তাকে ডিভাইসগুলো থেকে বের করা যায়নি। কম্পিউটার এবং মোবাইলে আসক্ত হয়ে জব্দ করে নেন ভিডিও ইডিটিং। তিনি চিন্তা করেন তার ইডিট করা ভিডিও চিত্র গুলো ইউটিউবের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে তুলে ধরবে। এরপর তিনি ইউটিউব চ্যানেল খুলে তার চিত্র গুলো তুলে ধরা শুরু করে এবং আস্তে আস্তে দেখতে পায় মানুষ তার কাজের গুন-গান গাইছে। একটা সময় তিনি মনে করেন তার এই দক্ষতা দিয়ে পরিবারকে কিছু করে দেখাবেন,তাই তিনি ইউটিউবে এক্টিভ হয়ে উঠেন তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো সে একজন বড় ইউটিউবার হবেন। তার দৃঢ় বিশ্বাসে আজ তিনি সফল ইউটিউবার।

তিনি জানান সাফল্য শব্দটা আপেক্ষিক। আর তাছাড়া আমি সে ভাবে ভাবিও না নিজেকে। এটা ঠিক আমার ইউটিউব ভিডিয়োর ভিউয়ার্স বলুন, সাবস্ক্রাইবার বলুন একটা উল্লেখ করার মতো জায়গায় এসেছে। কিন্তু আমার কাজ তো ইউটিউবের মাধ্যমে নিজের যতটুকু অভিজ্ঞতা আছে, হচ্ছে, তা সবার সঙ্গে শেয়ার করা। এবং একই সঙ্গে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

তিনি আরো জানান এতো অল্প বয়সে আমার মাসিক ইনকাম প্রায় চল্লিশ হাজারের কাছে। তরুণদের জন্য এটা খুবই অনুপ্রেরণার। তরুণদের জন্য তিনি বলেন সফল কেউ একদিনে হয় না। আমিও একদিনে এই জায়গায় আসিনি। এরজন্য অনেক ধৈর্য, অনেক পরিশ্রম বিনিয়োগ করতে হয়েছে। বাধাও কম আসেনি। কিন্তু ভালবাসা ছিল বলেই কিছুটা এগোতে পেরেছি। এবং বিশ্বাস, আরও এগোতে পারব। তরুণদের উদ্দেশে এটাই বলার, সাফল্য নিয়ে ভাববেন না। এক মনে নিজের কাজটা নিখুঁত ভাবে করার চেষ্টা করুন। সাফল্য এমনিই আসবে।

আবরার তার কাজকে আরো সজীব করতে চায়। এবং তুলে ধরতে চায় বাংলাদেশের বাইরেও।

Share This Article