রক্তাক্ত কাফনের চাদর সরিয়ে নিজের মাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অ্যাম্বুলেন্স কর্মী

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

রক্তাক্ত কাফনের চাদর সরানোর সময় ভয়াবহ এক দৃশ্যের সাক্ষী হলেন অ্যাম্বুলেন্স কর্মী। কারণ-স্ট্রেচারে পড়ে থাকা কাফনে মোড়ানো মৃতদেহটি যে তার মা, তা তিনি জানতেন না। ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন তার মা সামিরা বারদিনি। দেখার আগ পর্যন্ত এ সম্পর্কে কোনো খবরই পাননি সেই অ্যাম্বুলেন্স কর্মী। এক প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা এপি এ তথ্য জানায়।

নিজের মা’কে রক্তাক্ত কাফনের চাদরে দেখে অ্যাম্বুলেন্স কর্মী চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘হে আল্লাহ! আমি শপথ করে বলছি, তিনি আমার মা! না দেখলে কখনও জানতেই পারতাম না তিনি আর এই পৃথিবীতে নেই। এ দৃশ্য দেখে স্ট্রেচারের পাশেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ওই যুবক।

ঘটনাস্থল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রক্তে রঞ্জিত মৃতদেহটি যখন আল-বালাহের আল-আকসা শহিদ হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তার পাশেই বসেছিলেন বারদিনি। তখনও তিনি জানতেন না যে কাফনে মোড়ানো মৃতদেহটি তার মায়ের লাশ।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সাংবাদিকদের মতে, মাগাজি শরণার্থী শিবিরে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহত এবং কমপক্ষে 10 জন আহত হয়েছে। হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে দুজন গাড়িতে বসে ছিলেন এবং কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা ৬১ বছর বয়সী সামিরা বারদিনি বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, মাগাজি শরণার্থী শিবিরের কাছে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল। এতে তিন ব্যক্তি নিহত হন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন সামিরা বারদিনি। যিনি প্রথমে গুরুতর আহত হয়েছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধারের আগেই মারা যান ৬১ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি ওই নারী। গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকায় সরাসরি বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন তিনি। হামলার সময় ওই গাড়িতে আরও দুই ব্যক্তি নিহত হন। যারা গাড়ির ভিতরেই অবস্থান করছিলেন।

Share This Article