পাহাড়ের জঙ্গলে হদিস মিলল থানায় লুট হওয়া অস্ত্রের

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর নগরীর পাহাড়তলী থানা থেকে লুট করা একটি পিস্তল আকবর শাহ থানার ইস্পাহানি পাহাড়ের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।

লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগে মাহবুবুর রহমান ও নুর নবী নামে দুই জনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেয়া তথ্যে পুলিশ অস্ত্র, পুলিশের পোশাক, ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “মাহবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর পাহাড়তলী কর্নেল জোন্স সড়কে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশের পোশাকসহ ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

“তার দেয়া তথ্যে বিটাক বাজার সংলগ্ন ব্রাহ্মণ পুকুরে দুপুরে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলেও দুইটি পোড়া মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।”

এডিসি তারেক জানান, মাহবুবুরের দেয়া তথ্যে সোমবার বিকালে আকবর শাহ থানার রেলওয়ে হাউজিং সোসাইটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুর নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে দুই জনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে আকবর শাহ ফারুক চৌধুরী মাঠ সংলগ্ন ইস্পাহানি পাহাড়ের জঙ্গলে একটি পিস্তল মাটি চাপা দিয়ে রাখার তথ্য দেয়।

সন্ধ্যায় সেখানে অভিযান চালিয়ে একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয় বলে জানান এডিসি তারেক।

গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশান্তরী হন শেখ হাসিনা। গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন স্থানের মত চট্টগ্রামেও পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়। জ্বালিয়ে দেয়া হয় কোতয়ালী, পাহাড়তলী, পতেঙ্গা, ইপিজেড থানা।

লুটপাট হয়েছে অস্ত্রাগার, মালখানা। কোতয়ালী, পাহাড়তলী থানা ভবনের অবকাঠামো ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই নেই। আর পতেঙ্গা ও ইপিজেড থানা একেবারেই ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে গেছে।

অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তারেক আজিজ বলেন, পাহাড়তলী থানা থেকে লুট হওয়া আটটি পিস্তল, দুইটি চাইনিজ রাইফেল, তিনটি এসএমজি, ছয়টি শটগান ও ৩৫টি মোটর সাইকেলের কোনো হদিস নেই।

Share This Article