মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি) এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প। অবৈধ অভিবাসী ও মাদক পাচার ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় দেশ দুটি কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পর ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নেন। খবর রয়টার্সের।
তবে চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপের বিষয়টি বহাল থাকছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম উভয়ই বলেছেন যে তারা অভিবাসন এবং মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি মানতে রাজি হয়েছেন। এ বিষয়ে সীমান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জোরদার করবেন বলেও জানান তারা।
এর ফলে মঙ্গলবার থেকে ৩০ দিনের জন্য কার্যকর হতে যাওয়া ২৫% শুল্ক স্থগিত থাকবে।
এ বিষয়ে কানাডা সরকার জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কানাডার সীমান্তে নতুন প্রযুক্তি এবং কর্মী মোতায়েন করা এবং সংগঠিত অপরাধ, ফেন্টানাইল চোরাচালান এবং অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা শুরু করতে কানাডা সম্মত।
এছাড়া মেক্সিকো অবৈধ অভিবাসন এবং মাদক কমাতে ১০,০০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য দিয়ে তার উত্তর সীমান্ত আরও শক্তিশালী করতে সম্মত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম জানান, ‘মেক্সিকোতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র পাচার রোধেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে, সকল আমেরিকানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। এবং আমি ঠিক সেটাই করছি। এই প্রাথমিক ফলাফলে আমি খুবই খুশি।’
কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের পর একটি বাণিজ্য যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্ত শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেয়ার মধ্য দিয়ে সেই শঙ্কা কমানো গেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবীদরা।
দুই নেতার সাথে ফোনে কথা বলার পর, ট্রাম্প বলেন যে তিনি আগামী মাসে দুই বড় মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারের সাথে অর্থনৈতিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবেন।
তবে চীনের সঙ্গে এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি। হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ বিষয়ে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে কথা বলতে পারেন ট্রাম্প।