ট্রাম্পের হুমকির মধ্যেই অস্ত্র ভান্ডার বাড়ানোর নির্দেশ খামেনির

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

তেহরান নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে না চাইলে শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মধ্যেই নিজেদের অস্ত্র ভান্ডার সমৃদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী তেহরানে এক প্রতিরক্ষা মেলা পরিদর্শনে যান আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। এসময় তিনি বলেন, অগ্রগতি থামানো যাবে না।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেন, আমদের এখানেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত হবে না। ক্ষেপণাস্ত্র কতটুকু নিখুঁতভাবে আঘাত হানবে সেটার একটা নির্দিষ্ট সীমা আমরা আগে নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু এখন আমরা মনে করি এটা অপর্যাপ্ত এবং আমাদেরকে আরও সামনে এগোতে হবে। উন্নতি অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আজ, আমাদের প্রতিরক্ষা শক্তির বিষয়টি সবাই জানে। এটা নিয়ে আমাদের শত্রুরা খুব ভীত। আমাদের দেশের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

দ্রুত সামরিক শক্তি বাড়াতে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি আছে বলেও জানান খামেনি।

ইরান বরাবরই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে নিজেদের প্রতিরক্ষা জোরদারের অংশ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে। যদিও পশ্চিমারা এটিকে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য অস্থিরতা তৈরির মাধ্যম হিসেবে মনে করে আসছে।

এদিকে বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সমাবেশে কথা বলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। এসময় ট্রাম্পের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিই আলোচনায় বিশ্বাসী হয় তাহলে এধরনের আগ্রাসী কথাবার্তা বলতেন না ট্রাম্প।

আলোচনার কথা বলে ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন পেজেশকিয়ান। একইসঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, কোন হুমকির মুখে পিছু হটবেনা তেহরান।

গেল সোমবার মার্কিন গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি থামানোর দুটো উপায় আছে, আর তা হলো বোমা ব্যবহার অথবা কাগজে লিখিত নেয়া যে তেহরান এ ধরনের পদক্ষেপ বন্ধ করবে। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি চান বোমা মেরে নয় বরং এমন সমঝোতায় আসা যাতে ইরানের ক্ষতি না হয়।

Share This Article