
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তার বিনিময়ে দেশটির খনিজ সম্পদ পেতে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেছিলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তবে ওভাল অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের আক্রমণাত্মক আচরণে হতবাক জার্মানির সাধারণ মানুষ।
শুধু আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধানের প্রতি এমন অপদস্থ আচরণই নয়, বরং এর কারণে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বার্লিনের পর্যটকরাও।
অনেকেই মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো এখন ইউক্রেনকে আর সাহায্য করতে চায় না, তবে জার্মানিসহ ইউরোপের উচিত দেশটির পাশে দাঁড়ানো।
জার্মান নাগরিক মার্ক ব্রায়ান্ট বলেন, ‘ওভাল অফিসে যা হলো, তা সত্যিই লজ্জাজনক। আমি এবং আমার বন্ধুরা এখনও ইউক্রেনের পাশে আছি, তবে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্প ও ভ্যান্সের ব্যবহার বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে আমাদের।’
কারস্টেন হেডলার বলেন, ‘ওয়াশিংটনের এই ঘটনা এক কথায় কূটনৈতিক বিপর্যয়। ট্রাম্প ইউক্রেন নিয়ে যে রাজনৈতিক খেলা খেললেন, তা দেখে আমি হতবাক। তবে সামনের সপ্তাহেই বোঝা যাবে, আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে।’
ডেভোরা স্মিথ বলেন, ‘আমি এখনো শকড! রাশিয়াকে বিশ্বাস করা যায় না, এটা জানি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যখন প্রকাশ্যে রাশিয়ার পক্ষ নেন, তখন সেটা আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে।’
মারকুস বলেন, ‘ট্রাম্প যা করেছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। তবে ইইউর উচিত ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া, কারণ এই সংকটে যুক্তরাষ্ট্রকে আর পাওয়া যাবে না।’
এদিকে, জেলেনস্কি-ট্রাম্পের বাকবিতণ্ডার পর জার্মানির বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ও ভবিষ্যৎ চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎর্সের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ভবিষ্যতের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দু’জনই এ দুঃসময়ে জেলেনস্কি ও ইউক্রেনের মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।