
ম্যাচ ফি বাড়ানো হয়েছে কিছুদিন আগেই। বেতন গ্রেডেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। ক্রিকেটারদের জন্য সুযোগ–সুবিধার কমতি রাখতে চায় না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে বারবার হতাশই করে যাচ্ছেন তাঁরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে ৩ উইকেটে হেরে যাওয়ার পর প্রশ্নটা তাই উঠলই।
বিদেশি কোচিং স্টাফ ও এত সুযোগ–সুবিধার পর পারফরম্যান্সের জন্য আর কী চাই? প্রশ্নের মধ্যে বেতন বৃদ্ধির উল্লেখ থাকায় একটু যেন নাখোশই হলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। সাংবাদিকের প্রশ্নের মাঝপথেই থামিয়ে দিয়ে জানতে চাইলেন, ‘বেতন বাড়াতে মনে হয় আপনারা খুশি না?’
এরপর মুচকি হেসে প্রশ্নের উত্তরে নাজমুল বলেছেন, ‘আমার মনে হয় অনেক দিন পর ম্যাচ ফি বেড়েছে। বোর্ড সাহায্য করেছে, এটা অবশ্যই অ্যাপ্রিশিয়েট করার মতো বিষয়। আর কী হলে আসলে আমরা ভালো করব, জিনিসটা এ রকম না। জিনিসটা আমার কাছে মনে হয় যে ভালো ক্রিকেট খেলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, চেষ্টা থাকাটা, দায়িত্ব নিয়ে খেলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
গত মাসে টেস্টের ম্যাচ ফি বাড়িয়ে ৬ লাখ থেকে ৮ লাখ করার কথা জানিয়েছিল বিসিবি। ওয়ানডেতে ৬ ও টি–টোয়েন্টিতে ম্যাচ ফি করা হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। মাঠের ক্রিকেটে ভালো করতে না পারার দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া অধিনায়ক নাজমুল বলছেন, তাঁদের পথ খুঁজে নিতে হবে দ্রুতই, ‘কীভাবে ভালো করতে হবে, এটা সবাই মিলে আলাপ করে, ওই ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে করতে হবে। আমি যেটা বললাম, সারা দিন কিন্তু মাঠে সবাই কষ্ট করছে, মেহনত করছে। আপনি যদি মাঠে এক্সিকিউশনের দিক দিয়ে বলেন, এই জায়গাটাতে ঘাটতি আছে। যার যার যে ভূমিকা আছে, ওভাবে তাঁকে ওই দায়িত্বটা নিয়ে খেলতে হবে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টি শুরু হবে ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে। সিরিজ হার এড়াতে হলে যে ম্যাচটা নাজমুলের দলকে জিততেই হবে।