মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা, কতটা প্রস্তুত রাজধানীর হাসপাতালগুলো?

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

দেশজুড়ে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে কোভিড নাইনটিন। একদিকে যেমন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা, তেমনি জনমনেও বাড়ছে আতঙ্ক। করোনা মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত রাজধানীর হাসপাতালগুলো? কতটুকুইবা সক্ষমতা রয়েছে প্রতিরোধে?

কোভিড নাইটিন বা করোনা ভাইরাস মনে করিয়ে দেয় দুর্বিষহ এক স্মৃতির কথা। যেই স্মৃতিতে ভেসে ওঠে অবরুদ্ধ নগরীতে বন্দি জীবন আর চারপাশে শুধুই লাশের মিছিল। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো সেই ভাইরাস ফের কড়া নাচ্ছে দুয়ারে। দেশজুড়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সেইসঙ্গে জনমনেও বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৪ জুনের মধ্যেই সব হাসপাতালে চালু হওয়ার কথা করোনা কর্নার। তবে তা এখনো চালু হয়নি সব হাসপাতালে। এই যেমন মুগদা মেডিকেলে করোনা কর্নারের জন্য ঠিক হয়নি নির্ধারিত জায়গা। আপাতত গাইনি বিভাগকে করোনা ইউনিট করার প্রস্তুতি চলছে। আর গাইনি রোগীদের নেয়া হবে অন্য ইউনিটে।

যদিও করোনা কর্নার চালু হয়নি তা মানতে নারাজ এই হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম। তার দাবি, করোনা রোগীকে সেবা দিতে তারা প্রস্তুত। রোগী আসলেই তাৎক্ষণিক সেবা দেয়া যাবে।

মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত। দেশের সবচেয়ে বড় এই কোভিড হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ বুথ, প্যাথলজি এবং আরটি পিসিআর ল্যাব– সবগুলোতেই চলছে কর্মযজ্ঞ। প্রস্তুত করা হয়েছে ৩ শতাধিক শয্যাও।

ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাসাবা বলেন, আমরা শতভাগ প্রস্তুত আছি। বর্তমানে আমাদের এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ জন ভর্তি আছেন। আমাদের ৩০০টি বেড রেডি আছে। আমরা এক হাজার বেড রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলোও প্রস্তুত করবো।

করোনা রোগীদের সেবা দিতে প্রস্তুতি সেরেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। করোনা কর্নারে এরই মধ‍্যে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে বলে জানান ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, রোগী ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা প্রাথমিকভাবে একটা কর্নার নির্বাচন করেছি। আমাদের দু-চারজন রোগী হলে সেখানে রাখবো। পরের পদক্ষেপ হচ্ছে আইসোলেশনের ওয়ার্ড। সেখানে এখন যদিও অন্য রোগীরা থাকেন, সেটা খালি করে করোনা রোগী রাখবো।

Share This Article