সিংড়ার ইউএনওকে ধন্যবাদ জানালো বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সিংড়া উপজেলার সুযোগ্য ইউএনও জনাব মাজহারুল ইসলামকে জানানো হয়েছে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ২০০১ সালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনের বারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য জনাব কাজী গোলাম মোর্শেদ-এর প্রচেষ্টায় একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে এবং ২০০৪ সালে এমপিওভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ বিদ্যাপীঠ সুশৃঙ্খল পরিবেশ, ভালো ফলাফল ও মানবিক মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে জেলার শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভালো ফলাফলের কারণে বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল এ্যান্ড কলেজের সুনাম রয়েছে সর্বমহলে। বিগত কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির পাসের হার অত্যন্ত ভালো, ইতিপূর্বে সব সময় ৯০ শতাংশের ওপরেই থেকেছে। ভালো রেজাল্ট এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশের কারণে জেলাজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম থাকলেও বিগত ১৫বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল এ্যান্ড কলেজ। উপজেলার প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ল্যাব, আধুনিক চার তলা ভবন থাকলেও এখনো প্রতিষ্টানটি অবকাঠামোগত উন্নয়নবঞ্চিত। পাঠদান চলছে প্রতিষ্ঠাটির আধা পাঁকা ভবনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে নাটোর জেলায় সর্বপ্রথম আওয়ামীলীগের রোষানলে পড়ে চাকরি হারান বিএনপি সমর্থক অধ্যক্ষ রকিবুল। সে সময় সিংড়ার তৎকালীন এমপি জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সহযোগিতায় সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অধ্যক্ষ রকিবুলকে বে-আইনী ভাবে বরখাস্ত করেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের অসংখ্য মিথ্যা মামলায় ফলে কারাবরণ করতে হয় অধ্যক্ষকে।

দীর্ঘ চার বছর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে সরকারি আদেশকে বে-আইনী প্রমাণ করে আদালতের আদেশে অধ্যক্ষ রকিবুল পুর্নবহাল হন। এরপর থেকেই অধ্যক্ষের সাথে এক প্রকার যুদ্ধ চলেছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের। প্রতিমন্ত্রীর ডিও লেটার ব্যবহার করে পলক দুদক, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করে। প্রত্যেকটি অভিযোগই তদন্তের পরে মিথ্যা প্রমানিত হয়।

অধ্যক্ষ শেখ মোঃ রকিবুল ইসলাম বলেন, সিংড়ার সাবেক এমপি পলক ও আওয়ামীলীগের সমর্থক না হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়নে কাজ করলেও এ বিদ্যাপীঠ সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ডিজিটাল ল্যাব ও বিভিন্ন বরাদ্দের জন্য নাম আসলেও বার বার সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক তা কেটে দিয়েছেন। ভবন বরাদ্দের দাবি জানিয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।

তিনি আরো জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের শ্রদ্ধেয় ইউএনও জনাব মাজহারুল ইসলাম স্যারের ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যা এ এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য এক আশার আলো ও ভবিষ্যৎ উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন বটে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, নতুন এই উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ আরও এগিয়ে যাবে এবং এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ, ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ সকলের পক্ষ থেকে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম-কে কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা জানিয়েছেন।

Share This Article