১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কোহলিদের দলকেই দুষছে রাজ্য সরকার

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কোহলিদের দলকেই দুষছে রাজ্য সরকার

এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিরাট কোহলিদের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকেই (আরসিবি) দায়ী করেছে কর্ণাটকের রাজ্য সরকার।
গেল ৪ জুন আইপিএলের শিরোপা উদযাপনে অপ্রত্যাশিত ওই ঘটনায় ৫০ জনের বেশি মানুষ আহতও হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার জনসমক্ষে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্টে প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। রিপোর্টে প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত ফলাফল তুলে ধরা হয়। যদিও দুই দিন আগে কর্ণাটক সরকার এই রিপোর্ট গোপন রাখতে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু রাজ্যের হাইকোর্ট তা প্রকাশের নির্দেশ দেন।

এই রিপোর্টের একটি কপি ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর হাতে এসেছে।
যেখানে সরকার বলেছে, ‘আরসিবি ম্যানেজমেন্ট তাদের ইভেন্ট পার্টনার ডিএনএ নেটওয়ার্কস প্রাইভেট লিমিটেড ও কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মিলে পুলিশের অনুমতি বা প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছাড়াই আইপিএল শিরোপা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’
রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সিইও শুভেন্দু ঘোষ ও ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্টের পক্ষ থেকে বেঙ্গালুরুর কাবন পার্ক থানায় একটি নোটিশ জমা দেন। সেখানে জানানো হয়েছিল, ফাইনালে জয়ী হলে পরদিন বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হবে।
তবে পুলিশ অনুরোধটি প্রত্যাখ্যান করে। কারণ সেখানে সম্ভাব্য জনসমাগমের আকার ও প্রস্তুতির বিস্তারিত বিবরণ ছিল না। এছাড়া অতি স্বল্প সময়ে প্রস্তাব দেওয়ায় পুলিশের কাছেও তথ্য ঘাটতি ছিল।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘পুলিশ অনুমতি না দিলেও ৪ জুন সকাল ৭টা ১ মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলোতে বিজয় মিছিলের একটি পোস্ট দেয় আরসিবি। জানানো হয়, মিছিলটি বিধান সৌধ থেকে শুরু হয়ে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শেষ হবে।’
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বেঙ্গালুরুর ভক্তদের সঙ্গে উদযাপনের ঘোষণা দিয়ে কোহলির একটি ভিডিও বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলে।
২০০৯ সালের ‘লাইসেন্সিং অ্যান্ড কন্ট্রোলিং অফ অ্যাসেম্বলিস অ্যান্ড প্রসেশনস (বেঙ্গালুরু সিটি) অর্ডার’ এর উদ্ধৃতি দিয়ে সরকার জানায়, আরসিবি যেভাবে জনসমাগমের ঘোষণা দিয়েছিল, তা পুরোপুরি প্রক্রিয়াগত লঙ্ঘন।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘আয়োজকরা কেবল একটি তথ্য জানিয়েছিল। নির্ধারিত ফর্মে কোনো অনুমতির আবেদন করা হয়নি বা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কাছে সম্ভাব্য লোকসমাগমের বিষয়ে কোনো তথ্যও দেওয়া হয়নি, যাতে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হতো।’
বর্তমানে আরসিবি এখনো সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিবেদন তৈরির কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। গত এক মাসে আরসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ডিএনএ-র প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য জমা দিয়েছেন। মামলার চূড়ান্ত রায় কবে ঘোষণা করা হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।

Share This Article