
চীনের বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয় বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর)। এই বৈঠকের পর, টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তাকর্মীরা কিম জং উনের স্পর্শ করা প্রতিটি জায়গা খুব সতর্কতার সঙ্গে পরিষ্কার করছেন। চেয়ারের হাতল ও পিঠের অংশ, আলোচনার সময় পাশে থাকা টেবিল এবং কিমের পানির গ্লাস, সবকিছুই পরিষ্কার করা হয়। কিমের পানি পান করার গ্লাসটিও এক ধরনের ট্রেতে নিয়ে চলে যাওয়া হয়।
রুশ সাংবাদিক আলেকজান্ডার ইউনাসেভ তার চ্যানেল ‘ইউনাসেভ লাইভ’-এ বলেন, বৈঠক শেষে, কিমের উপস্থিতির সব চিহ্ন যত্ন সহকারে মুছে ফেলেন তার নিরাপত্তাকর্মীরা।
তিনি আরও বলেন, যে গ্লাসে কিম পানি পান করেছেন, সেটি নিয়ে নেয়া হয়েছে এবং চেয়ারের কাপড় ও আসবাবপত্রের যেসব অংশে তিনি স্পর্শ করেছেন, সেগুলোও মুছে ফেলা হয়েছে।
মূলত, কিমের ডিএনএ-এর চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য এসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সেসব জায়গায়, যেখানে কিম বসেছিলেন বা স্পর্শ করেছিলেন, তা পরিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে, চীনে গিয়ে কিমের অতিরিক্ত সতর্কতার কারণ জানা যায়নি। তবে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এটি সম্ভবত রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী বা চীনের নজরদারি নিয়ে উদ্বেগের কারণে, যাতে কিমের ডিএনএ চিহ্ন সংগ্রহ না করা যায়।
এ ধরনের সতর্কতার নজির কিন্তু কেবল কিম জং উনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও তার ডিএনএ চুরি ঠেকাতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেন। ২০১৭ সাল থেকে, বিদেশ সফরে গেলে, পুতিনের দেহরক্ষীরা তার মল-মূত্র বিশেষ ব্যাগে সংগ্রহ করে রাশিয়ায় ফিরিয়ে আনেন। গত মাসে, যখন পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠক করেছিলেন, তখনও একই প্রটোকল অনুসরণ করা হয়। তখন পুতিনের মল-মূত্র একটি সুটকেসে ভরে মস্কোতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।