
দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর নতুন কমিটি গঠন করেছে দেশের ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোয়াবের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন।
এবারের কোয়াবের নির্বাচনে মোট ১১টি পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে এর মধ্যে ১০টিতে একক প্রার্থী থাকায় ভোটের প্রয়োজন হয়নি। কেবল সভাপতি পদে লড়াই হয়েছে। যেখানে মিঠুনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ। ভোটের ফলাফলে মিঠুন পেয়েছেন ১৫৪ ভোট, আর সেলিমের পক্ষে পড়েছে ৩৪ ভোট।
এবারের কোয়াবের নতুন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদ রাখা হয়নি। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নুরুল হাসান সোহান সহ-সভাপতি হয়েছেন। এর বাইরে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হয়েছেন- নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলি, রুমানা আহমেদ, শামসুর রহমান শুভ, ইরফান শুক্কুর, খালেদ মাসুদ পাইলট ও ইমরুল কায়েস।
নতুন এই দায়িত্ব পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন নুরুল হাসান সোহান। তিনি বলেন, ‘সব সময় যেহেতু ক্রিকেটের সাথে আছি, ক্রিকেট খেলছি সেই সাথে আমাদের ক্রিকেটারদেরও দায়িত্ব আছে যে আমাদের নিচে যারা আছে তাদের নিয়ে চিন্তা করা। আলহামদুলিল্লাহ ক্রিকেটের মাধ্যমেই আজকের সোহান আমি হতে পেরেছি।’
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের উন্নয়নে কাজ করারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে এই উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন, বিশেষ করে খুলনার মতো জায়গায় অনুশীলনের ভালো পরিবেশের অভাব রয়েছে। তিনি নিজে খেলোয়াড় হিসেবে এই সমস্যা উপলব্ধি করেন এবং এই দায়িত্ব থেকে সবার জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে চান।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের উন্নয়নে কাজ করারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে এই উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন, বিশেষ করে খুলনার মতো জায়গায় অনুশীলনের ভালো পরিবেশের অভাব রয়েছে। তিনি নিজে খেলোয়াড় হিসেবে এই সমস্যা উপলব্ধি করেন এবং এই দায়িত্ব থেকে সবার জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে চান।
ভোটের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সোহান জানান, জীবনে এই প্রথম কোনো নির্বাচনে তিনি ভোট দিয়েছেন। এর আগে তিনি কখনো জাতীয় নির্বাচনেও ভোট দেননি। কোয়াবের এই নির্বাচন তার কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা।
তিনি বলেন, ‘আগে হয়তো একটা সিলেকশন টাইপ হয়েছিল… এই জায়গা থেকে সবসময়ই একটা দায়িত্ব থাকবে, খেলাধুলার জন্য যেন সবাই ওই পরিবেশটা পায় সেটা দেখার। আমার জন্য জীবনের প্রথম ভোট এটা। আমি কিন্তু জাতীয় নির্বাচনেও ভোট দেইনি কখনো। এটাই প্রথম ভোট দিলাম।’
হান আরও বলেন, ‘এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে। সিনিয়র অনেক ক্রিকেটাররা এসেছেন যাদের সাথে হয়তো অনেক বছর ধরে দেখা হয় না। আমরা যারা এখন একসাথে খেলছি, গত কয়েকদিন ধরেই আমাদের ভেতরে এটা নিয়ে কথা হচ্ছিল।’
নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সোহান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারের সাথে দেখা হয়েছে এবং বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যেও এ নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা ছিল। সোহান বলেন, “আমার মনে হয় ভালো একটা পরিবেশে নির্বাচনটা হয়েছে। অবশ্যই ধন্যবাদ যারা ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছেন।