

মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় দেশজুড়ে বৃষ্টি কমে গেছে। ফলে তাপমাত্রাও বেড়েছে। পাশাপাশি বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকায় গরমের অস্বস্তি বেড়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত আগস্ট মাসের শেষ দিনগুলো থেকেই বৃষ্টি কমেছে। একই অবস্থা চলতি সেপ্টেম্বর শুরু থেকেও। সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে বিচ্ছিন্নভাবে। রোববার দেশে সর্বোচ্চ ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুমিল্লায়।
এছাড়া ঢাকাতেও তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দেশের অধিকাংশ স্থানে তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ছিল বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। এদিকে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় গরম বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ বলছেন আবহাওয়াবিদরা। গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮২ মিলিমিটার বেগে বৃষ্টি হয়েছে পঞ্চগড়ে। সারাদেশে আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকৃত ৫১টি স্টেশনের মধ্যে ৩০টি স্টেশনে কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়নি।
রোববার দুপুরে আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জাগো নিউজকে বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে সাধারণত কিছুটা বৃষ্টি হয়, কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত বৃষ্টি তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। ফলে দিনের তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছালেই গরম অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ দিক থেকে আসা বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকায় ঘাম হচ্ছে বেশি, আর এ কারণেই ভোগান্তি আরও বাড়ছে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১১ সেপ্টেম্র থেকে সারাদেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে। এ সময় দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। এর আগ পর্যন্ত বৃষ্টিহীন অঞ্চলে গরম অব্যাহত থাকবে।
রোববার রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে আজ রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ইউআরএল কপি করা হয়েছে