
ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় বুলবুল, জেলা ক্রীড়া সংস্থায় ফাহিম
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে অংশ নেবেন বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তবে, তিনি কোন ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করবেন, সেটা ছিল অস্পষ্ট। যদিও কিছুদিন আগে জাগোনিউজেই প্রকাশ হয়েছিল, ঢাকা বিভাগ থেকে নির্বাচন করবেন তিনি।
সেটাই সত্যি হতে চললো অবশেষে। কারণ, ঢাকা বিভাগ থেকে নির্বাচন করতে হলে বুলবুলকে বিভাগীয় কিংবা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটিতে থাকতে হবে। ওখানে না থাকতে পারলে তো কাউন্সিলরও হতে পারবেন না।
অবশেষে সে বাধা দূর হয়েছে বুলবুলের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে কিছুদিন আগে ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার যে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই কমিটিতে নাম ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের। তবে, বৃহস্পতিবার নতুন এক বিজ্ঞপ্তিতে এনএসসি জানিয়েছে, আশরাফুলের পরিবর্তে ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে। এর অর্থ, ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে বিসিবি নির্বাচনে যে কাউন্সিলর পাঠানো হবে, সে জায়গাটায় অনায়াসে নাম উঠে যাবে বর্তমান বিসিবি সভাপতির।
শুধু আমিনুল ইসলাম বুলবুলই নন, কিছুদিন আগে ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থায়ও। যেখানে নাম ছিল সাবেক নারী জাতীয় দলের ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করা সাথিরা জাকির জেসির। কিন্তু নতুন করে এনএসসি থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, জেসি নয় ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থায় তার পরিবর্তে নাম উঠবে বর্তমান বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমের।
অর্থ্যাৎ, বিসিবি নির্বাচনে ঢাকা বিভাগ থেকে ২জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। সেই দুই পরিচালক যে আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং নাজমুল আবেদিন ফাহিম- তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ঢাকা বিভাগে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া জোর সম্ভাবনা আছে জামালপুরের কাউন্সিলর রিদওয়ান বিন ফুয়াদ। ৬
টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেট ক্লাবে রিশাদ
এ ছাড়াও পেসার শরিফুল ইসলাম ৫২ ম্যাচে ৫৮ এবং স্পিনার মাহেদি হাসান ৬৪ ম্যাচে ৫৭ উইকেট শিকার করেছেন। বাংলাদেশের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেট শিকার ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন। গত রাতে আবু ধাবিতে এশিয়া কাপের ১৭তম আসরে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেট পূর্ণ করেন রিশাদ।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে খেলতে নামার আগে টি-টোয়েন্টিতে রিশাদের বোলিং পরিসংখ্যান ছিল- ৪৩ ম্যাচে ৪৮ উইকেট। হংকংয়ের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৩১ রানে ২ উইকেট শিকার করে টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেটের মালিক হন ২০২৩ সালে অভিষেক হওয়া রিশাদ।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশের হয়ে পাঁচজন বোলার টি-টোয়েন্টিতে ৫০ বা ততোধিক উইকেট শিকার করেছেন।
১২৯ ম্যাচে ১৪৯ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শিকারি স্পিনার সাকিব আল হাসান। ১১৪ ম্যাচে ১৩৯ উইকেট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।
তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৭৯ ম্যাচে ৯৬ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এ ছাড়াও পেসার শরিফুল ইসলাম ৫২ ম্যাচে ৫৮ এবং স্পিনার মাহেদি হাসান ৬৪ ম্যাচে ৫৭ উইকেট শিকার করেছেন।৭
বিভক্তিতে স্বৈরাচার ফেরার পথ সুগম হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্রের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে ছাত্র সংসদের যে নির্বাচন হচ্ছে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গতকালকে যে জাকসু নির্বাচন হয়েছে সেখানে শুধু ছাত্রদলের কথা কেনো বলেন সেখানে বিভিন্ন প্যানেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী, শিক্ষকরা পর্যন্ত নির্বাচন থেকে অনেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন। নিশ্চয়ই সেখানে কোনো না কোনো কারণ আছে। কাজেই আমার বক্তব্য থাকবে অত্যন্ত সুস্পষ্ট।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ২০০৯ এ ভোট দিতে পারেনি। ‘১৪-তে ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছে, ১৮-তে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, ২৪ এ আমি-ডামি নির্বাচন হয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখতে চায়। যারা এ সব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তাদের উচিত হবে এমন কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা যে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন আসবে, মানুষ দ্বিধাগ্রস্ত হবে, নির্বাচন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বি দলসমূহ সরে যাবে।
ডাকসু নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম এবং জাকসুতে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জাহিদ।
বিভক্তিতে স্বৈরাচার ফেরার পথ সুগম হবে উল্লেখ করে এজেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো বিভেদ-বিভাজন আপনাকে আমাকে শক্তিশালী করবে না। মনে রাখতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকলেই তাহলেই স্বৈরাচার পালিয়েছে, স্বৈরাচার ফেরত আসার পথ সুগম হবে না। কিন্তু কেউ যদি স্বৈরাচারকে পুনর্বাসিত করতে চান তাহলে এ ধরনের প্রহসনমূলক ব্যবস্থার আয়োজন করবেন যেটি সত্যিকার অর্থে শেষ বিচারে ভালো বলে পরিগণিত হবে না।
তিনি বলেন, এখনো সময় আছে, সবার প্রতি আহ্বান আপনারা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হন। গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াই করেছেন তারা কোনো অবস্থাতেই বিভাজনের রাজনীতিতে যাবেন না। ঐক্যের রাজনীতিতে আসুন। জনগণের মনের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। জনগণের উপর দায়িত্ব দিন। যারা এসব প্রক্রিয়ার (নির্বাচন প্রক্রিয়া) সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদেরকে বলবো, বামেও যাবেন না ডানেও যাবে না, মধ্যবর্তী অবস্থা অবলম্বন করুন এবং ভোটারদের সঙ্গে জনগণের সঙ্গে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলুন। কোনদিকে হেলে পড়ার দরকার নেই। আপনি আপনার নিরপেক্ষতা দিয়েই প্রমাণ করবেন এবং আগামী দিনের ভবিষ্যৎ স্বীকৃতি দেবে আপনার অবস্থান কি ছিল। আমরা আর এ ধরনের কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে, সেই নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা শিক্ষকরা সরে দাঁড়াবে এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিইএব) আহ্বায়ক মো. হানিফ ও সদস্য সচিব কাজী শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেলা ১১টায় শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।