

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও আতঙ্কের মুখে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আশা টিকিয়ে রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাঁর ভাষায়, “একটি নিরাপদ ইসরায়েল এবং একটি টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র—বর্তমানে আমাদের কাছে কোনোটিই নেই।”
স্টার্মার জানান, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সঠিক সময় অবশেষে এসেছে। তিনি আরও বলেন, “এই মহান দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি আজ স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছি যে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিচ্ছে। এটি শান্তি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আশা পুনরুজ্জীবিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আজ আমরা সেই ১৫০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে একাত্ম হলাম যারা ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি জনগণের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি বহন করে।”
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্টার্মার বলেন, “আমি জানি এই সংঘাত মানুষের মনে কতটা আবেগ জাগায়। আমরা তা আমাদের রাস্তায়, স্কুলে কিংবা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আলাপচারিতায় দেখেছি। এটি সমাজে বিভাজন তৈরি করেছে। অনেকে এ বিষয়টিকে ঘৃণা ও ভয়ের ইন্ধন জোগাতে ব্যবহার করেছে—কিন্তু তাতে সমাধান আসে না। আমাদের শুধু ঘৃণাকে প্রত্যাখ্যান করলেই হবে না, বরং ঘৃণার সব রূপের বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করতে হবে।”
এর আগে জি-৭ দেশগুলোর মধ্যে প্রথম কানাডা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় এবং তার পর অস্ট্রেলিয়াও একই পদক্ষেপ নেয়। এ বিষয়ে ব্রিটেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি আজ বিবিসির লরা কুজেন্সবার্গের সকালের অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে দাঁড়ানোর সময় এখনই ।”
ইউআরএল কপি করা হয়েছে