
সারের দাম কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না উল্লেখ করে কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশে সারের কোনও সংকট নেই, তাই আমি যতদিন আছি ততদিন সারের দাম বাড়ানো হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি খাতের অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, দেশের সার সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। আগামী অর্থবছরে সম্ভাব্য ঘাটতি মোকাবিলায় সার আমদানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সার সরবরাহ ব্যবস্থায় পূর্বের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বেশি দামে জ্বালানি কিনে সার উৎপাদন করা হলেও সারের দাম বাড়ানো হবে না। সার পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন বিএডিসিকে সার ক্রয়ে ২০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ঋণ প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বালাইনাশক বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। গত এক বছরে ২,৬৪৬.১১ টাকা ব্যয়ে ০৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩টি পরিমার্জন ও ২টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন এবং কৃষিকে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও লাভজনক খাতে রূপান্তর করা ছিল সরকারের অগ্রাধিকার। গত এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয় এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে এবং তার ধারাবাহিকতা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।