
গতবছরের জুলাই ও আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদের শনাক্ত করা গণকবর ও অশনাক্ত কবর যাচাইয়ের কাজ চলমান রেখেছে সরকার। কয়েকটি জেলায় শহীদ পরিবার নিজস্বভাবে শহীদদের কবর সংরক্ষণ করেছে। কয়েকটি শহীদ পরিবারের কবর পাকা করার আপত্তি আছে বিধায় কবর সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। বর্ষার কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটি জেলায় কবর সংরক্ষণের কাজ শুরুর ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গণকবরের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান আছে।
গত ৩১ আগস্ট এক বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদের কবরগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণসহ বিনা খরচে আদর্শিক স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে নেওয়া এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সম্প্রতি সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, সংশ্লিষ্ট জেলা ও সব পৌরসভায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। এসব চিঠির অনুলিপি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের লেখা চিঠিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে গত ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত সভায় সব পৌরসভা এলাকায় বীর শহীদের কবর চিরস্থায়ী হিসেবে সংরক্ষণের জন্য সিদ্ধান্ত হয়। এমতাবস্থায় চিঠিতে বীর শহীদের কবর স্থায়ী হিসেবে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট সভায় জানানো হয়, দেশের মোট বাঁধাই করা কবরের সংখ্যা ৩৫১টি। ৬৪ জেলায় জেলা পরিষদের চিহ্নিত কবরের সংখ্যা ৬৭২টি এবং এর মধ্যে কবর বাঁধাই শেষ করা হয়েছে ৩৩৫টি। সিটি করপোরেশনের আওতায় মোট চিহ্নিত কবরের সংখ্যা ৬৮টি এবং এর মধ্যে কবর বাঁধাই করা হয়েছে ১৬টি। সনাতন ধর্মালম্বী শহীদের সংখ্যা ৮ জন এবং পটুয়াখালী জেলায় স্থানীয়ভাবে ডিজাইন অনুযায়ী একটি সমাধি সৌধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী একজন। স্থানীয়ভাবে ডিজাইন শেষ করে সংরক্ষণ করা হয়েছে।