আমিরাতে ২৫ বন্দির মুক্তির বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃত ২৫ জন বন্দির মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কূটনৈতিক ও আইনি প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আটককৃতদের মধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এসেছেন। আটককৃত অবশিষ্ট এই বন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে সরকার আশাবাদী।

অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তির জন্য এ বছরের ২২ এপ্রিল আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি তালিকা প্রেরণ করে তাদের মুক্তির ব্যাপারে সহযোগিতা চাওয়া হয়।

মুক্তি প্রক্রিয়ায় সন্তোষজনক গতি আনার লক্ষ্যে মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং ইতোঃপূর্বে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মানে মুক্তি পাওয়া ১৮৮ ব্যক্তির ন্যায় বর্তমানে আটককৃতদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন।

এরপরেও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি দৃশ্যমান না হওয়ায়, ১ জুলাই দূতাবাস থেকে আরেকটি নোট ভারবালের মাধ্যমে বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে কনস্যুলার এক্সেস চাওয়া হয়। 

৮ জুলাই তাদের মুক্তির বিষয়টি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে হামদান আল কাবি  নামক এক ল’ফার্ম-কে নিযুক্ত করা হয় এবং প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

নিযুক্ত ল’ ফার্ম গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে জানায়, আটকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্টেট সিকিউরিটি সম্পর্কিত মামলা থাকায়, আইনী পদক্ষেপসমূহ সময়সাপেক্ষ এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করে তা সম্পন্ন করতে হবে।

এ বিষয়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে মর্মে উক্ত ল’ফার্ম দূতাবাসকে সময়ে সময়ে অবহিত করছে। 

Share This Article