জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জয়পুরহাট জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী ফিরোজ আলমগীর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর পাঠানো এক পদত্যাগপত্রে তিনি এ ঘোষণা দেন।
পত্রে ফিরোজ আলমগীর উল্লেখ করেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এনসিপির জেলা প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দলের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত, কর্মকাণ্ড ও অবস্থানকে তিনি ‘বিপ্লবের আদর্শের পরিপন্থি’ বলে মনে করছেন।
তিনি লেখেন, ‘চিহ্নিত আওয়ামী নেতাকর্মীদের দলে নেওয়ার বিষয়ে যে নীতি দল গ্রহণ করছে, তা আমার ব্যক্তিগত আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থি। আশা করেছিলাম, বিপ্লব পরবর্তী সময়ে এনসিপি নতুন ধারার রাজনীতি গড়ে তুলবে। কিন্তু বর্তমানে দলটি গতানুগতিক রাজনীতির পথে হেঁটেছে, যা আমাকে মর্মাহত করেছে।’
ফিরোজ আলমগীর তার পদত্যাগপত্রে আরও লেখেন, ‘এনসিপি যেন শহীদ পরিবার, আহত কর্মী ও জেলা পর্যায়ের জনমতের প্রতি আন্তরিকভাবে মনোযোগ দেয়।’
তিনি আহ্বান জানান, ‘শুধু কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত নয়, আন্দোলনের আহত ও তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে দল পরিচালনা করা উচিত।’
এই নেতা লেখেন, ‘বর্তমানে এনসিপির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে আর সংযুক্ত রাখতে পারছি না এবং দলের সব কার্যক্রম থেকে পদত্যাগ করছি।’
ফিরোজ আলমগীরের এই পদত্যাগ জয়পুরহাট জেলা রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনসিপির অভ্যন্তরীণ নীতি ও নেতৃত্বের ধারা নিয়ে মাঠপর্যায়ে অসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছে।
জেলার এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী ওমর আলী বাবু বলেন, ‘বিষয়টি জয়পুরহাট এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক ফিরোজ আলমগীরের ফেসবুক পোস্টে দেখেছি। এ ছাড়া আমাদের সঙ্গে পদত্যাগ বিষয়ে কোনও কথা হয়নি।’
পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফিরোজ আলমগীর বলেন, ‘জেলায় ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি রয়েছে। সেই কমিটি থেকে আমি পদত্যাগপত্র সোমবার (১৩ অক্টোবর) কেন্দ্রে পাঠিয়েছি।’