ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো অপপ্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ ইউনিট বাংলাফ্যাক্ট।
সংস্থাটি জানায়, গত ১৮ অক্টোবর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর ফেসবুকে যমুনা টিভির লোগো ও ডিজাইন ব্যবহার করে একটি ভুয়া ফটোকার্ড ছড়ানো হয়। তাতে দাবি করা হয়—প্রেস সচিব শফিকুল আলম নাকি বলেছেন, “শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হবে পরিচালনার জন্য।”
তথ্য যাচাই করে বাংলাফ্যাক্ট নিশ্চিত হয়েছে, যমুনা টিভি কখনোই এ ধরনের কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি এবং শফিকুল আলমও এমন কোনো বক্তব্য দেননি। যমুনা টিভির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে ওই মন্তব্য বা সংবাদের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। একইভাবে অন্য কোনো গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন মেলেনি।
এছাড়া যাচাইয়ে দেখা গেছে, ভুয়া ফটোকার্ডটির ডিজাইন, রঙ ও ফন্টের ধরন যমুনা টিভির আসল ফটোকার্ডের সঙ্গে মেলে না। এ বিষয়ে যমুনা টিভির নিউ মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক রুবেল মাহমুদ বলেন, “ফটোকার্ডটি সম্পূর্ণ ভুয়া। ব্যবহৃত ফন্ট ও ডিজাইন আমাদের মূল টেমপ্লেটের সঙ্গে কোনোভাবেই মেলে না।”
বাংলাফ্যাক্টের বিশ্লেষণে জানা গেছে, গত এক বছর ধরে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম, দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এবং বাংলাদেশভিত্তিক কয়েকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে গুজব, ভুয়া সংবাদ ও অপতথ্য ছড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। এসব অপতথ্যের বেশির ভাগই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ২০২৪ সালের আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোকে লক্ষ্য করে ছড়ানো হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বাংলাফ্যাক্ট শতাধিক ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর পোস্ট শনাক্ত করেছে। সংস্থাটি জানায়, তারা নিয়মিতভাবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া এসব গুজব খণ্ডন করে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।