জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে ঐকমত্য কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে জুলাইযোদ্ধাদের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলের হয়ে উপস্থিত ছিলেন মো. সোহাগ মাহমুদ, কামরুল হাসান, মো. আল-আমিন, মুস্তাঈন বিল্লাহ হাবিবী, হাসিবুল হাসান জিসান, মারুফা মায়া, আহাদুল ইসলাম, মাজেদুল হক শান্ত, মো. সাগর উদ্দিন, মো. দুলাল খান, মো. নাহিদুজ্জামান, ইমরান খান, নুসরাত জাহান।
এ সময় নিজেদের পরিচয় তুলে ধরতে এবং পরিবারের সদস্যদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জুলাই যোদ্ধারা একটি নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) চেয়েছেন।
জুলাইযোদ্ধারা কমিশনকে অবহিত করেন, তাদের অনেকেই স্বাস্থ্য কার্ড থাকা সত্ত্বেও গত কোরবানি ঈদের পর থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ সময় তারা আহত জুলাইযোদ্ধাদের সর্বাবস্থায় চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পক্ষ থেকে একটি লিখিত নির্দেশনা দেশের সব হাসপাতালে প্রেরণের দাবির বিষয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সভায় জুলাইযোদ্ধারা ১৭ অক্টোবরের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এবং জানান, ঘটনাটি তাদের জন্য সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। তারা বলেন, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তারা কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা ঘটাতে যাননি; বরং তাদের ন্যায্য দাবিগুলো তুলে ধরার জন্যই সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন।
তবে সেই সময় কিছু বহিরাগত ব্যক্তি সেখানে অনুপ্রবেশ করে মারামারি ও ভাঙচুরে জড়িত হন, যাদের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ জনের পরিচয় তারা চিহ্নিত করেছেন। জুলাই যোদ্ধারা এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সেদিন দায়ের করা ৪টি মামলা প্রত্যাহারে কমিশনের সহায়তা কামনা করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।