যমুনা রেলসেতুর পিলারে ফাটল নয়, ‘চুল আকৃতি ফাঁকা’

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর কয়েকটি পিলারে ফাটলের মতো দাগ দেখা যাওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ছবি ঘিরে সেতুর নির্মাণমান ও অনিয়ম নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।

তবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বলছে, সেতুতে কোনো গঠনগত ত্রুটি হয়নি। প্রচণ্ড গরমের প্রভাবে পিলারের নিচের অংশে খুব সূক্ষ্ম “চুল আকৃতির ফাঁকা” (হেয়ার ক্র্যাক) তৈরি হয়েছে, যা কংক্রিটের শক্তি বা স্থায়িত্বে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

যমুনা রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী নাইমুল হক জানান, পশ্চিম প্রান্তের ৮ থেকে ১০টি পিলারে এই ধরনের অতি ক্ষুদ্র ফাঁকা দেখা গেছে। সেগুলো ঘষে বিশেষ আঠা বা রেজিন দিয়ে পূরণের কাজ চলছে। তাঁর ভাষায়, “এগুলো ফাটল নয়, বরং তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট ক্ষুদ্র রেখা। এগুলো সেতুর কাঠামো বা ট্রেন চলাচলের নিরাপত্তায় কোনো ঝুঁকি তৈরি করবে না।”

প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, এসব ফাঁকা সাধারণত শূন্য দশমিক এক থেকে তিন মিলিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা কংক্রিটের স্বাভাবিক প্রসারণ ও সংকোচনের কারণে ঘটে।

চলতি বছরের ১৮ মার্চ উদ্বোধন হওয়া ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ডুয়েল গেজ রেলসেতুটি দেশে প্রথম এবং সবচেয়ে দীর্ঘ রেলসেতু হিসেবে রেল যোগাযোগে নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে।

প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকা দিয়েছে প্রায় ৭২ শতাংশ অর্থায়ন, বাকিটা বহন করেছে বাংলাদেশ সরকার। সেতুটি নির্মাণ করেছে জাপানের ওটিজি ও আইএইচআই কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে।

Share This Article