কারও দাবিতে নয়, ইসি মনে করেছে তাই ‘শাপলা কলি’: সচিব

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তফসিলভুক্ত প্রতীকের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে ‘শাপলা কলি’। প্রতীকটি যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। এর আগে ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে ৪ মাস ৯ দিন ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে  টানাপোড়েন চলছিল সংস্থাটির। এখন এনসিপির ‘চাপে’ তফসিলে ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ‘শাপলা’ আর ‘শাপলা কলি’র মধ্যে পার্থক্য আছে। এটা ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে না।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কোনও দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, ‘এখন আপনি যেটা বলছেন যে “শাপলা কলি রাখা হয়েছে কেন”—নতুন যে প্রতীকগুলো ভেতরে আসছে, সেখানে শাপলা কলি রাখা হয়েছে। এটা ইলেকশন কমিশন মনে করেছে যে শাপলা কলিটা রাখা যেতে পারে। এটা কারও দাবির প্রাসঙ্গিক বিষয় নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলটা সংশোধন করেছি। কিছু কিছু প্রতীক নিয়ে কিছু মন্তব্য আমরা শুনেছি—যেমন কেউ বলেছেন এটা রাখলেন কেন, না রাখলে ভালো হতো, রাখা কি যৌক্তিক হয়েছে কিনা ইত্যাদি। এই বিবেচনায়, আগে যে ১১৫টা প্রতীক ছিল, তার থেকে আমরা ১৬টা প্রতীক বাদ দিয়ে নতুন করে প্রতীক নিয়ে ১১৯টা প্রতীক এবার শিডিউল করেছি।’

এদিকে গত ২২ জুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করে ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়েছিল এনসিপি। তবে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয় দলটিকে এ প্রতীক না দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ইসির পক্ষ থেকে বলা হয় তফসিলে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় ‘শাপলা’ প্রতীক পাবে না এনসিপি।

নতুন করে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক কেন যুক্ত করা হলো- এমন আরেক এক প্রশ্নের জবাবে ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি—কিছু কিছু প্রতীক সম্পর্কে বিরূপ মতামত আমাদের কানে এসেছে। কমিশন মনে করেছে, এটা সংশোধন করা দরকার বা করা যেতে পারে। সেই বিবেচনায় এটা করা হয়েছে। যেহেতু বিরূপ কিছু সমালোচনা এসেছিল, সেই জন্য কিছু বাদ দিয়ে কিছু নতুন যোগ করা হয়েছে। কিছু বিয়োজন, কিছু সংযোজন।’

তিনি বলেন, ‘আজ যেমন করা হয়েছে, ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবার সংশোধন করবে। এটা কোনও স্থির আইন নয়। তর্ক-বিতর্ক উঠলেই কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি বলে কমিশন চাপে পড়ে এটা করেছে…. না, কমিশন নিজের বিবেচনায় করেছে। এখানে নতুন করে বিতর্কের কিছু দেখছি না। বরং কমিশন আবার প্রমাণ করলো যে তারা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান।’

Share This Article