নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, অভিযুক্ত ছেলেকে ধরতে গিয়ে ৩ পুলিশ আহত

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

পাবনা সদর উপজেলায় নামাজ আদায় করা অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন এক ছেলে। খবর পেয়ে অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করতে গিয়ে তার ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য।

রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরাতন ভাদুরডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিজাম প্রামাণিক (৬০) ওই গ্রামের মৃত ইন্তাজ প্রামাণিকের ছেলে। এ ঘটনায় তার অভিযুক্ত ছেলে মোস্তফা প্রামাণিককে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে মোস্তফা প্রামাণিক মাদকাসক্ত। মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।

তাকে আটকের সময় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে সদর থানার তিন উপপরিদর্শক (এসআই) আহত হন। তারা হলেন- এসআই আবুবকর সিদ্দিক, জিয়াউর রহমান ও আবু রায়হান। এর মধ্যে জিয়াউর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিজাম প্রামাণিক কৃষক। রবিবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাজারে দুধ বিক্রি শেষে বাড়িতে ফেরেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজ ঘরে এশার নামাজে দাঁড়ালে ছেলে মোস্তফা হঠাৎ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর হাতে থাকা হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে সেখানে বসে থাকেন। বাড়ির লোকজন দীর্ঘ সময়ে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে লাশ দেখেন। তারা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অভিযুক্ত মোস্তফাকে আটক করতে গেলে ছুরিকাঘাতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। শেষে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আটক করা হয়।

নিহতের বড় ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই মোস্তফা দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই বাবার সঙ্গে ঝগড়া করতো। টাকা না দিলে বাড়িতে ভাঙচুর চালাতো। কয়েক মাস আগে আমাকে পিটিয়ে আহত করেছিল। আজও আমাকে মারার জন্য খুঁজছিল। না পেয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মোস্তফাকে আটক করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন ছেলেটি মাদকাসক্ত। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Share This Article