যৌথ বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযান: নির্দোষ ব্যক্তিকে আসামী করার অভিযোগ

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি ও র‍্যাব এর যৌথ অভিযানে ২০ হাজার পিস ইয়াবা বড়িসহ দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ঘটনার সাথে একেবারেই সম্পৃক্ত নয় এমন এক ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন খুদ ওই মামলার প্রধান আসামীর স্ত্রী ও ভূক্তভোগীর পরিবার।

গত শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড় হাবির পাড়া গ্রামের শাকেরের বসত বাড়ি হতে মাদকসহ তাদের আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় আটক দুইজন সহ আরো তিনজন কে পলাতক উল্লেখ করে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানায় বিজিবি।

ধৃতরা হলো- টেকনাফ সদরের বড় হাবির পাড়া এলাকার (বাড়ির মালিক) আব্দুল মোনাফের ছেলে শাকের (৪০) ও নাজির পাড়ার গুরা মিয়ার ছেলে মোঃ জাকির (৩৫)।

২ বিজিবি এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান জানায়, মিয়ানমার হতে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার একটি চালান বড় হাবির পাড়া মোঃ শাকের এর বসত বাড়িতে মজুদ রাখা হয়েছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তি যৌথ অভিযান চালায় বিজিবি ও র‍্যাব। ব্যাপক তল্লাশীর এক পর্যায়ে বসত ভিটার এক কোনায় একটি টয়লেটের ভেতর থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে দুইজনকে আটক করা হয়।

বিজিবি অধিনায়ক ও মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, ঘটনাস্থল থেকে পলাতক তিন আসামী হলেন- টেকনাফ সদরের নাজির পাড়া এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে মোঃ ঈমান হোসেন (২৫), বড় হাবির পাড়ার মৃত অলি আহাম্মদের ছেলে মোঃ ইসমাইল (৩৮) ও উত্তর নাজির পাড়ার নুর হোসেনের ছেলে মোঃ জাকের হোসেন (৩৫)।

এদিকে, এই ঘটনায় তিনজন পলাতক আসামীদের মধ্যে মামলার ৪নং আসামী মোহাম্মদ ইসমাইলকে নির্দোষ দাবী করেছেন মামলার প্রধান আসামী শাকেরের স্ত্রী লায়লা। লায়লার দাবী উদ্ধারকৃত মাদকে মালিক আমার স্বামী শাকের। আমার জ্ঞাতসারে ইসমাঈলের সাথে শাকেরের কখনো উঠাবসা হয়নি। আমাদের বাড়িতে ব্যবসায়িক কারনে অনেকেই শাকেরের সাথে আসা যাওয়া করেন। কিন্তু ইসমাইলকে বাড়িতেও কখনো আসতে দেখি নাই, তার চেহারাও চিনিনা।

ইসমাইলের পরিবারের দাবী, সে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি। ঘটনার দিন বিকেলে ইসমাইল বাড়িতে ঘুম ছিলো। মাদকসহ গ্রেফতারকৃত শাকের নামক ব্যক্তি সাথে ইসমাইলের কোন যোগাযোগ বা সম্পর্ক নেই। আমাদের ধারণা, এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। এই ঘটনায় ইসমাইলের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা অধিকতর তদন্ত করা প্র‍য়োজন। যদি সংশ্লিষ্টতা পেলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। সংশ্লিষ্টতা না পেলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জায়েদ নুর জানান, কারো বিরুদ্ধে মামলা হওয়া মানে অপরাধী হয়েগেলো ব্যাপারটা এমন না। এই মামলার অধিকতর তদন্তে যার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবেনা তাকে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

Share This Article