১২ বছর পর জামায়াত কর্মীর লাশ উত্তোলন

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে পৌনে ১২ বছর পর তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলাম উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের মৃত শেখ খিজির উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহমেদের উপস্থিতিতে কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় থানা পুলিশের একটি দল লাশের অংশবিশেষ সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করে।

মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) মো. আব্দুল লতিফ বলেন, লাশের অংশগুলো থানায় আনা হয়েছে এবং তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শাহাবুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। একই ঘটনায় তার সঙ্গী মিজানুর রহমানও আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক শাহাবুল ইসলাম মৃত্যু ঘোষণা করেন।

প্রায় সাড়ে ১০ বছর পর ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর নিহতের ছোট ভাই এসএম শাহজাহান কবির বাদী হয়ে সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক লাশের অংশবিশেষ সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি তদন্ত প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

Share This Article