বিএনপি-আ.লীগের সংঘর্ষ ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১৫

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জের ধরে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটেরও ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের কাকাইলমোড়া এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লকডাউন কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে কাকাইলমোড়া এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম অনুসারীদের সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিয়ার অনুসারী উপজেলা ওলামা দলের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে আজ ভোর পাঁচটার দিকে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় ছয়টি ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। সংঘর্ষে আছমা আক্তার (৪৫), গিয়াসউদ্দিন মিয়া (৪০) হাবিবুল্লাহ মিয়া (৫৫), পিয়ারিম (৪০), পিয়ারিশ (৪৫), মোবারক (২২), ফাহিন (২৪), কামাল হোসেনসহ (৩৪) অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আছমা, গিয়াসউদ্দিন, হাবিবুল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাবিবুল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্বজনরা জানান। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কাকাইলমোড়া এলাকার রতন মোল্লার মুদি দোকানে ও বাড়িতে, কাদির মোল্লার ঘর, হালিমের ঘর, শাহিন মোল্লার ঘর ও জোহর আলী প্রধানের ঘরে হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share This Article