![](https://bdchitro.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
আজিজ আহমেদ, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মাদকাসক্ত স্বামী বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে স্ত্রী কহিনুর বেগমকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্বামীকে মাদকসেবন সহ পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে বেলাল হোসেন তার স্ত্রীকে প্রথমে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে রড নিয়ে মারতে আসে।
এই ঘটনায় নির্যাতিতা স্ত্রী তার স্বামী বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম্য আদালতে অভিযোগ দায়ের করে।
কহিনুর বেগম অনেক কষ্ট করে নিজ বাবার বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা সহ সহযোগিতা করে আসছে।
স্বামী বেলাল হোসেন মাঝে মাঝে ইস্ক্রাপ ব্যাবসা করে আসছে। তাও ঠিক মতো পরিবারের ও রোজগারের প্রতি তার মন নেই।
কহিনুর বেগম জানায়, বিবাহের পর থেকে আমাকে শারীরিক মানসিক ভাবে অত্যাচার করে আসতেছে । আমি তার অমানষিক অত্যাচার নিরবে সহ্য করে আসতেছি । তার মুখের ভাষা খুবই খারাপ। কথায় কথায় গালি গালাজ, মারধোর করা তার স্বভাব । ঠিকমত রুজি রোজগার করে না । সংসারের তেমন কোন খোঁজ খবর রাখে না । ছেলে মেয়েদের দিকে ও কোন প্রকার খেয়াল না করে সবসময় নেশা সেবন করে । আমি কিছু বললে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধোর করে । আমাদের একটি ছেলে আছে। বয়স আট বছর, একটি মেয়ে যার বয়স দেড় বছর। স্বামী ও আমার শ্বাশুড়ি আমার ছেলেকে মারধর করে ও মেরে ফেলতে চায়। গত কাল সংসারের খরচ পাতির কথা বললে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে কিল, ঘুষি, জুতা পিঠাইয়া, রড নিয়া মারতে আসে এবং অকর্থ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। তার মুখের ভাষা খুবই খারাপ। আমার ভাই ডাক দিলে তাকেও খারাপ আচরন করে। আমি আমার স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে গেছি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই ইউনিয়নের ৬ নং ওর্য়াডের আবুল খায়ের বাড়ির কহিনুর বেগমের সাথে পাশ্ববর্তী মিন্নত আলি ফরাজি বাড়ির বেলাল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। দীর্ঘ ১২ বছরের সংসার জীবন তাদের। সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে স্বামীর মাদকাসক্ত সহ রোজগারের বিষয়টি নিজেদের মধ্যে গোপন রাখে কিন্তু পরে তা জানাজানি হয়ে যায়। কিন্তু স্বামীকে মাদক থেকে দুরে রাখতে কহিনুরের সব চেষ্টা কষ্ট ব্যর্থ হয়। স্বামী বেলাল হোসেন সবসময় নেশা গ্রস্থ থাকে। নেশা করে যখন বাড়িতে আসে তখন প্রায়ই সময় বিনা কারনে স্ত্রী উপর নির্যাতন করে। অনেক সময় হাত খরচের জন্য টাকা দিতে বলে। এলাকাবাসি জানার পরেও তাকে সংসারের কথা চিন্তা করে সঠিক পথে এসে রুজি রোজগার করার জন্য এবং একসাথে থাকার জন্য বলা হয়।
উক্ত ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি মো. আবদুল গোফরান থেকে বিষয় টি জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যম কে জানান, তাদের এই সমস্যা গুলো অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। কয়েকবার তাদের মধ্যে সমঝোতা করে দিয়েছি। কিন্তু বারবার তারা একই সমস্যা গুলো করে আসছে দুজনেই। স্বামী বেলাল হোসেন মাদকাসক্ত কিনা বা মাদক সেবন করে স্ত্রী কে মারধরের বিষয় টি জানতে চাইলে তিনি বিষয় টি জানেন নাহ বলে এড়িয়ে যান। আর বেলাল হোসেন যদি মাদকাসক্ত হয় তাহলে তিনি এর ব্যবস্থা নিবেন বলেও সাফ জানিয়ে দেন।
তারপরও বিষয় টি সঠিক তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এই ঘটনায় অপর দিকে উল্টো স্বামী বেলাল হোসেন বাদী হয়ে ভুক্তভোগীর নামে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।