টাইটানিক যাত্রীর স্বর্ণঘড়ি নিলামে উঠছে, মূল্য ধরেছে প্রায় এক মিলিয়ন পাউন্ড

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

Titanic gold pocket watch recovered from body of one of its richest pass...টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার ১১৩ বছর পরও সেই ট্র্যাজেডির স্মারকগুলো বিশ্বজুড়ে সংগ্রাহকদের কাছে দুর্লভ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। এবার টাইটানিকের অন্যতম ধনী যাত্রী ইসিডর স্ট্রাউসের স্বর্ণ নির্মিত একটি পকেটঘড়ি নিলামে উঠছে, যার সম্ভাব্য মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ পাউন্ড। ১৮ ক্যারেটের জুলস জুর্গেনসেন ব্র্যান্ডের এই পকেটঘড়িটি উদ্ধার করা হয়েছিল স্ট্রাউসের মৃতদেহের সঙ্গে, যিনি ১৪ এপ্রিল ১৯১২ সালে টাইটানিক ডুবে যাওয়ার সময় প্রাণ হারানো ১,৫০০-এরও বেশি যাত্রীর একজন। তার স্ত্রী আইডাও সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।

Titanic gold pocket watch recovered from body of one of its richest pass...ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ারের নিলাম প্রতিষ্ঠান হেনরি অ্যালড্রিজ অ্যান্ড সন জানায়, ঘড়িটি ২২ নভেম্বর নিলামে তোলা হবে। প্রতিষ্ঠানটির নিলামকারী অ্যান্ড্রু অ্যালড্রিজ বলেন, “এই ঘড়ি শুধু একটি স্মারক নয়, এটি ইসিডর স্ট্রাউসের জীবন ও ভালবাসার গল্প নতুন করে বলে দেয়।” ঘড়িটি ০২:২০ মিনিটে থেমে যায়—যে মুহূর্তে টাইটানিক পুরোপুরি আটলান্টিকের ঢেউয়ের নিচে তলিয়ে যায়। ধারণা করা হয়, এটি ১৮৮৮ সালে আইডা স্ট্রাউস তার স্বামীকে  উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ঘড়িটি স্ট্রাউস পরিবারের প্রজন্ম ধরে সংরক্ষিত ছিল এবং তার প্রপৌত্র কেনেথ হলিস্টার স্ট্রাউস এটিকে পুনরায় সংস্কার করান।

ঘড়ির সঙ্গে নিলামে উঠছে আইডা স্ট্রাউসের লেখা একটি বিরল চিঠিও, যা তিনি টাইটানিক থেকে পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি জাহাজটির বিলাসবহুল সাজসজ্জার বর্ণনা দিয়ে লিখেছিলেন, “কী বিশাল আর কী অপূর্ব সাজানো জাহাজ! আমাদের কক্ষগুলোও অত্যন্ত রুচিসম্পন্ন ও বিলাসী।” চিঠিটি জাহাজের পোস্ট অফিসে ‘ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক ৭’ চিহ্নে সিলমোহর করা হয় এবং পরে আয়ারল্যান্ডের কুইনসটাউনে নামানো ডাকের সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল। এই চিঠির দাম অনুমান করা হচ্ছে প্রায় ১.৫ লাখ পাউন্ড।

Titanic gold pocket watch recovered from body of one of its richest pass...নিলাম প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ঘড়িটি এবার টাইটানিকের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্মারকগুলোর একটি হিসেবে রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে সারা বিশ্বের সংগ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাপক আগ্রহ পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেন, “ইসিডর ও আইডার প্রেম ও ত্যাগের গল্পই টাইটানিকের ইতিহাসকে আজও জীবন্ত করে রেখেছে। আইডা শেষ মুহূর্তে স্বামীর পাশে থাকতে লাইফবোটের স্থান ছেড়ে দিয়েছিলেন। এই মানবিক গল্পই মানুষের হৃদয়ে টাইটানিককে অমর করে রেখেছে।” উল্লেখ্য, গত বছর টাইটানিক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের উদ্ধারকারী জাহাজ কার্পাথিয়ার ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি স্বর্ণঘড়ি রেকর্ড ১.৫৬ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয়েছিল।



ভালো সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ ফিডটি অনুসরণ করুন


Google News

Share This Article