ধারণ ক্ষমতার বাহিরে বন্দি বহন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

ধারণ ক্ষমতা বাহিরে বন্দি বহন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার। বর্তমানে দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি রয়েছেন। যার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে মাত্র ৭৮০ জন, সেখানে বর্তমানে বন্দি রয়েছে ১৭শ’র মতো। এরমধ্যে মহিলা বন্দি প্রায় ১০০ জন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে বন্দি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ১৫-১৭শ’র মধ্যে উঠানামা করছে। কারাগারে নারী-পুরুষ মিলিয়ে সাধারণ হাজতি ১১-১২শ’। সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ৫শ’র বেশি। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত কয়েকজনসহ অন্যান্য মামলায় বন্দি রয়েছে আরও ৬০-৭০ জন। মোট বন্দির মধ্যে মাদক মামলার আসামি হিসেবে বন্দি রয়েছে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ৪শ’র বেশি।

সূত্রটি জানায়, গত বছরের জুলাই মাসে গড়ে বন্দি ছিল সাড়ে ১২শ’র বেশি। আগস্টে এ সংখ্যা হাজারে চলে আসে। সেপ্টেম্বরে গড় বন্দির সংখ্যা আরও কমে হয় সাড়ে ৮শ’। অক্টোবর মাসে বেড়ে তা আবার চৌদ্দশতে পৌঁছে। ওই বছরের নভেম্বরে বন্দি সংখ্যা আরও কয়েকশ’ বৃদ্ধি পেয়ে ১৭শ’র কাছাকাছি চলে আসে। এরপরের কয়েক মাস অর্থাৎ এবছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল-মে মাস বন্দি ১২-১৪শ’ থেকে ১৫শ’র মধ্যে উঠানামা করে। পরের মাসগুলোতে বাড়তে থাকে। গত ৩-৪ মাস ধরে বন্দি সংখ্যা গড়ে ১৬-১৭শ’ বা তারচেয়ে বেশি। এদিকে প্রতিদিন জামিনে বেরিয়েও হচ্ছে ৫০-৬০ জন ।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে বন্দি সংখ্যা ১৭শ’র উপরে। আর জেলা কারাগার সংশ্লিষ্টদের দাবি এতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জেলা কারাগারের জেলার মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, থাকার জায়গা সবাইকে সমান করে দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জায়গা নিয়ে আরাম আয়েশ করে কেউ থাকছে না। সবাই যাতে মিলেমিশে থাকে সেটি বলে দেয়া হয়েছে।

তথ্যানুসারে জানা যায় ,১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে ৩ কারাগার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার উড়শিউড়ায় ১৭ একর জমিতে এই কারাগার নির্মিত হয়। প্রথম পর্যায়ে এর বন্দি ধারণ ক্ষমতা ছিল ৫০৪ জন। এর আগে শহরের জেল রোডে ১৮৬০-৬১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপ-কারাগার এবং জেলা হওয়ার পর ১৯৮৮ সালে জেলা কারাগারের কার্যক্রম শুরু হয়।

Share This Article

এ সম্পর্কিত আরও খবর