আজ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনো বড় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া না গেলেও অনেক স্থানে ভবনের দেওয়াল ফেটে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্প আসলে কী? এটি হলো পৃথিবীর মাটির কম্পন। সাধারণত ভূ-অভ্যন্তরে দুটি শিলার অবস্থান হঠাৎ পরিবর্তিত হলে বা একটির উপর অন্যটি উঠে আসলে পৃথিবীর পৃষ্ঠ কেঁপে ওঠে। এই হঠাৎ আন্দোলনকে ভূমিকম্প বলা হয়।
ভূমিকম্পের কারণ
ভূ-অভ্যন্তরে থাকা গ্যাস যখন ভূ-পৃষ্ঠের ফাটল বা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে, তখন সেই স্থান ফাঁকা হয়ে যায়। পৃথিবীর উপরের তল তখন সেই ফাঁকা স্থানে চাপ প্রয়োগ করে ভারসাম্য বজায় রাখে। এসময় ভূ-পৃষ্ঠে প্রবল কম্পনের অনুভূতি তৈরি হয়।
সাধারণত ভূমিকম্পের উৎপত্তির তিনটি প্রধান কারণ থাকে। যদিও এর স্থায়িত্ব সাধারণত কয়েক সেকেন্ডের, এই ক্ষুদ্র সময়ের মধ্যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটতে পারে।
রিখটার স্কেল: ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ
ভূমিকম্পের তীব্রতা নির্ণয় করতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, তা হলো **রিখটার স্কেল**। এই স্কেল ১ থেকে ১০ পর্যন্ত মাপের।
* মাত্রা ৫–৫.৯৯: মাঝারি তীব্রতার ভূমিকম্প
* মাত্রা ৬–৬.৯৯: তীব্র ভূমিকম্প
* মাত্রা ৭–৭.৯৯: ভয়াবহ ভূমিকম্প
* মাত্রা ৮-এর ওপর: অত্যন্ত ভয়াবহ দুর্যোগ
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, রিখটার স্কেলে মাত্রা এক ডিগ্রি বাড়লে ভূমিকম্পের শক্তি ১০ থেকে ৩২ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। তাই মাত্রা ৫-এর বেশি হলে তা ইতিমধ্যেই গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনার সংকেত দেয়।