![](https://bdchitro.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
![](https://kalbangla.com/bdchitroo1/wp-content/uploads/2023/09/received_1014062873240835-1024x576.jpeg)
এ্যাডভোকেট সিদ্দিক হোসেন:
দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০২৩ সালের ১৮ ই সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ কর্তৃক পারিবারিক অধ্যাদেশ ১৯৮৫ বাতিল করে “পারিবারিক আদালত আইন-২০২৩” পাস হয়েছে। আইনটি মোট ৩১টি ধারা সম্বলিত করে ২০২৩ সনের ২৬ নম্বর আইন হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি-এই তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত সমগ্র বাংলাদেশে আইনটি প্রয়োগ হবে। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার ৪ ধারা মোতাবেক প্রত্যেক জেলাই এক বা একাধিক পারিবারিক আদালত প্রতিষ্ঠা করতে পারবে এবং উক্ত আদালতে সহকারী জজ বা সিনিয়র সহকারী জজ পদমর্যাদার ১ জন বিচারক দায়িত্ব পালন করবেন।এই আইনের ৫ ধারা মোতাবেক এখন থেকে পারিবারিক বিষয় সমূহ যেমন বিবাহ বিচ্ছেদ, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ এবং সন্তানের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান বিষেয় মোকদ্দমা গ্রহণ, বিচার এবং নিষ্পত্তির এখতিয়ার থাকবে পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩-এর। এই আইনের ১২ ধারায় Summary Trial অর্থাৎ রুদ্ধ দ্বার কক্ষে বিচার এবং ১৫ ধারায় আপোষ মীমাংসার বিষয় লিপিবদ্ধ হয়েছে।পারিবারিক আদালত আইন-২০২৩ এর অধীন কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হলে এই আইনের ১৮ ধারা মোতাবেক আপিল আদালত অর্থাৎ জেলা জজ এর নিকট ৩০ দিনের মধ্য আপিল দায়ের করতে পারবেন। কোন ব্যক্তি পারিবারিক আদালত বা পারিবারিক আপিল আদালত অবমাননা করলে আদালত এই আইনের ২৩ ধারা মোতাবেক অনধিক ২০০ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারবে। তাছাড়া পারিবারিক আদালতে মোকদ্দামার আরজি দাখিল করতে এই আইনের ২৫ ধারা মোতাবেক দুইশত টাকা কোট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২৭ ধারা মোতাবেক Guardians and wards act ১৮৯০ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পারিবারিক আদালত জেলা আদালত রূপে গণ্য হবে।এ ছাড়া পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩-এ বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্য বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।লেখক: সিদ্দিক হোসেন।এ্যাডভোকেট, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ঢাকা।
#নাজমুল সুজন বিশ্বাস/বাংলাদেশ চিত্র
শার্শা(যশোর)