
বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক ::
৪ হাজার ১৭৪ কোটি ৬৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ব্যয়ে দেশে প্রথমবারের মতো ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করা হবে চাঁদপুরে।
গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) একনেক সভায় মতলব-গজারিয়া সংযোগ সেতুটির প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
তথ্যসূত্র বলছে, প্রকল্প চলবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। সাধারণত প্রকল্পের মেয়াদ একনেকে পাস করার আগে থেকে শুরু হয়। তবে এই প্রকল্প পাস হয়ে থাকবে এবং পরে কাজ শুরু হবে। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ১ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার। সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য হবে ৭ দশমিক ৫১ কিলোমিটার (গজারিয়া অংশে ৫ দশমিক ৪৬০ কিলোমিটার ও মতলব উত্তর অংশে ২ দশমিক শূন্য ৫৫ কিলোমিটার)। টোল প্লাজা একটি এবং ওজন স্টেশন হবে দুইটি। ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স হবে ২৫ মিটার। এই সেতু বাস্তবায়ন হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ।
জানা যায়, মতলব-গজারিয়া সেতুটি ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে বিকল্প সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করবে। এ সেতু নির্মাণের ফলে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী এবং ভোলা জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে দূরত্ব, সময় এবং ব্যয় হ্রাস পাবে। সেতুটি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (ঘ-১) এর ওপর যানবাহনের চাপ কমবে। সেই সঙ্গে চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত মতলব উত্তর ও হাইমচর উপজেলায় অনুমোদিত দুইটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে পণ্য পরিবহন সহজ হবে। সেতুটির মধ্যে নদীর মূল প্রবাহে কোনো পিলার থাকবে না।
এদিকে মতলবের ঝুলন্ত সেতুর অনুমোদিত হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে মতলবের বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। মতলবের যে স্থানে ব্রিজ হবে কালিপুর নামক স্থানে তাৎক্ষণিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনার প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের জন্য দোয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়াও উপজেলার ছেংগারচর, সুজাতপুর বাজার, আমিরাবাদ বাজার, জনতা বাজার, কালির বাজার, একলাশপুর বাজার, মোহনপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের খবর পাওয়া যায়।
মতলব-গজারিয়া সেতু দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখবে। নদীর অববাহিকায় নতুন শিল্পাঞ্চলসহ পর্যটনশিল্প বিকাশের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে; যা অত্র অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। সেতুটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের প্রায় ১ দশমিক ৮ কোটি জনগণ প্রত্যক্ষভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন।