![](https://bdchitro.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কর্তৃক ‘লেখালেখির হাতেখড়ি’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ আগস্ট, ২০২২ (রোজ বুধবার) রাত ৮.৩০ মিনিটে গুগল মিট এর মাধ্যমে শুধুমাত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা সদস্যদের জন্য উক্ত কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।
কর্মশালাটি শাখা সভাপতি এসএএইচ ওয়ালিউল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও শাখা সাধারণ সম্পাদক আবু তালহা আকাশ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম জাতীয় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পর্ষদের সভাপতি নেজাম উদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে কেউ কাউকে স্থান দেয়না, স্থান করে নিতে হয় নিজের কর্ম দ্বারা। তেমনি পাঁচ মিনিটের একটি বক্তব্য দিতে যেমন পয়তাল্লিশ (৪৫) মিনিট পড়তে হয়। অনুরূপভাবে কিছু লিখতে যাওয়ার আগে নিজের লেখাপড়ার মধ্য দিয়ে সে বিষয়ে দক্ষ হয়ে তারপরেই লেখা উচিত ‘। তিনি আরো বলেন, ‘মানুষ সংগঠন করে ব্যক্তি অর্জনের জন্য, নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে, আর লেখক ফোরাম সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে’।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে যুক্ত ছিলেন ইবি শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন আজাদ। নবীনদের ‘লেখালেখির হাতেখড়ি’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি একদম হাতেকলমে একজন লেখক হয়ে ওঠার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন। তিনি তার আলোচনায় বলেন, ‘একজন লেখককে অবশ্যই সমাজের অন্য দশজন মানুষের থেকে আলাদাভাবে ভাবতে হবে। আলাদা গুণাবলী অর্জন করতে হবে। নিয়মিতভাবে অনেক বেশি পড়াশোনা করতে হবে। এক কেন্দ্রীক পড়াশোনা না করে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান সকল বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে হবে৷ এবং দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে লেখালেখির প্রতি ইচ্ছেশক্তির সাথে সঠিক পরিশ্রমের মাধ্যমেই দক্ষ লেখক হয়ে ওঠা সম্ভব’। এছাড়াও তিনি, একজন সংগঠকের আচরণ, অহংকার মুক্ত জীবনযাপন, সময়ানুবর্তিতা, লেখালেখিতে কপিরাইট সহ সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক, শ্যামলী খাতুন এর শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি এসএএইচ ওয়ালিউল্লাহ এর সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দুই (২) ঘন্টা ব্যাপী এই কর্মশালার পরিসমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা নবীনদের মাঝে লেখালেখি আগ্রহ জাগ্রত করে, তাদের বিভিন্ন সময়ে কর্মশালা সহ হাতেকলমে প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ১৭ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পরপর তিন বারের ‘বর্ষসেরা’ শাখা নির্বাচিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।