করোনায় গৃহবন্দী নয়, অন্য কিছু করতে হবে; এমন চিন্তা থেকেই উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন। স্বপ্নের শুরু ২০২০ সালের ৪ এপ্রিলে। ১৬ হাজার টাকা নিয়ে উদ্যোক্তার পথচলা। প্রতিমাসের শতশত কাস্টমারকে পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছেন হেলেনা মুন । তবে এখন শুধু শাড়ি থ্রি পিচ আইটেমই নয়, যুক্ত হয়েছে হোমমেড নাড়ু ও ছাতুসহ আরো অনেক কিছু। গল্প বলছিলাম হেলেনা মুনের উদ্যোক্তা হয়ে উঠার।
উদ্যোক্তা হেলেনা মুন । নাটোর জেলার নলডাংগা উপজেলার বিপ্রবেলঘড়িয়া গ্রামের মেয়ে। গ্রামেই শৈশব ও কৈশরকাল কাটিয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য ২০০৯ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে পরিসংখ্যান এ অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেন । উদ্যোক্তা হেলেনা মুন। পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানেই নিজের স্কিল ডেভোলভ এর জন্য বিভিন্ন ট্রেনিং অংশগ্রহণ করেন । যা তার উদ্যোক্তা জীবনের প্রতিটি ধাপে কাজে লেগেছে।
উদ্যোক্তা হেলেনা মুন ডেইলি সিগনেচারকে বলেন ” জীবনে অনেক হোচট খেয়েছি পড়েও গিয়েছি অনেকবার কিন্তু সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ওঠে দাড়িয়েছি পুনরায়। জীবন থেকে একটা জিনিস শিখেছি যে কোন কাজেই ধৈর্য্য চেষ্টা ও সততা থাকাটা খুবই জরুরী। উদ্যোক্তা জীবনে আসার পর বিভিন্ন সময়ে আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশীর পেয়েছি অনেক সমালোচনা। কিন্তু আমার স্বামী শুরু থেকে আজ পর্যন্ত পাশে রয়েছেন ছায়ার মত। সে ছুটিতে বাসায় আসলে আমার বাহিরের কাজে অনেক সহযোগিতা করে। আমি যেন সকল বাধা বিপত্তি ডিংগিয়ে এগিয়ে যেতে পারি তাই মানসিক সাহস দেন।
একটা নারী উদ্যোক্তার জন্য পাশের মানুষটার সাপোর্টটা খুবই জরুরী। যা আমি আমার উদ্যোক্তা জীবন দেখে উপলব্ধি করতে পারি। আল্লাহর অশেষ রহমতে আজ ৮-১০ জন মহিলা আমার পন্যের মাধ্যমে তাদের নিজের একটা পরিচয় তৈরী করার চেষ্টা করছে। একটা কথা না বললেই না আমার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পাশে পেয়েছি অনুপ্রেরণা হিসাবে আমার পরিবারকে ও আমার স্বামী কে। তারা পাশে না থাকলে এই উদ্যোক্তা হেলেনা ও hp fashion house এত সহজে গড়ে ওঠত না। আল্লাহর দরবারে হাজারোও শুকরিয়ে এমন একটা পরিবারে জন্মগ্রহণ করিয়েছে ও এমন একটা জীবন সঙ্গী দান করেছেন।
শুরুটা হঠাৎ হলেও কাজটির প্রতি ছিল আসীম ভালবাসাও চেষ্টা। তার ফলস্বরূপ পেয়েছি দেশে ও বিদেশের অনেকের অগাধ ভালবাসা ও বিশ্বাস । যা উদ্যোক্তা জীবনের চলার পথকে সুদূরপ্রসারী করেছে প্রতিনিয়তই।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিনহাজ উদ্দীন আত্তার