পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বেপরোয়া ভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইট ভাটার মাটি, ইট ও বালুবহনকারী অনুমোদনহীন ট্রাক্টর, মাহিন্দ্রা এবং শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। এর ফলে একদিকে নষ্ট হচ্ছে সড়ক, অন্যদিকে ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ধরনের যানবহান চলাচল করলেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার পিরোজপুর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, সড়কে সব ধরনের অবৈধ যানবাহন বন্ধ করতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে। দ্রুত এসব যানবাহন বন্ধ করা হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় বন্ধ হচ্ছে না এই অবৈধ যানবাহন। অদক্ষ চালকদের দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে যানবাহনগুলো। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই দ্রুত মাহিন্দ্রা, ট্রাক্টর এবং শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পিরোজপুর ঢাকা মহাসড়কসহ উপজেলার চৌঠাইমহল থেকে খেজুরতলা, চৌঠাইমহল থেকে শ্রীরামকাঠী, হাসপাতাল মোড় থেকে বৈঠাকাটা পর্যন্ত সড়কে অবাদে চলাচল করছে ট্রাক্টর, মাহিন্দ্রা এবং শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব অবৈধ যানবহন বেপরোয়া ভাবে সড়ক দাপিয়ে বেড়ায়। ফলে এই সড়কে চলাচল করা পথচারী, রিকশা ও মোটোরসাইকেল চালকদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। ফলে এইসব সড়কের অনেক স্থান থেকে পিচ উঠে গিয়ে গর্তে পরিণত হয়েছে । তাই সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল দ্রুত বন্ধ করার দাবি স্থানীয়দের।
রিকশা চালক এমারত শেখ বলেন, রাস্তায় আমাদের চলতে ভয় করে। ট্রাক্টর ও মাহিন্দ্রা অনেক দ্রুত যাতায়াত করে। যেকোনো সময় এই গাড়ি গুলোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এগুলো বন্ধ করা দরকার।
মোটরসাইকেল চালক মানিক জানান, ট্রাক্টর ও মাহিন্দ্রা এতো দ্রুত যাতায়াত করে যে অনেক সময় আমরা বুঝে উঠতে পারি না কি গাড়ি এসে পড়েছে। তাদের কোনো হর্ণও নাই। এই গাড়িগুলো শুধু পিরোজপুর-নাজিরপুরের নয় পার্শবর্তী কচুয়া, চিতলমারী, টুঙ্গিপাড়া থেকেও আমাদের এখানে বালু, ইট, গরু, খরকুটা বহন করে নিয়ে আসে। এগুলো বন্ধ করার দাবি জানাই।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক কয়েকজন মাহিন্দ্রা চালক বলেন, আমরাতো লেবার। কাজের বিনিময়ে টাকা পাই। ইট ভাটার জন্য মাহিন্দ্রাতে করে মাটি নেওয়া হয়। আবার ইট, বালু বহন করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দিয়ে আসি। আমরা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকেই গাড়ি চালাই।