ডিএনসিসির নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়ন কাজ ৩য় দিনের মতো পরিদর্শন করেন মেয়র

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়ন কাজ টানা ৩য় দিনের মতো পরিদর্শন করেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ১৮ আসনের সাংসদ খসরু চৌধুরী (এমপি)।

বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সাংসদ ৫৩ নং এবং ৫৪ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় চলমান নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সকাল ১১ টায় উত্তরা খালপাড় এলাকা থেকে শুরু করে তারারটেক, নিমতলীরটেক, চন্ডালভোগ, রানাভোলা, দিয়াবাড়ী, ফুলবাড়িয়া, ধউর, বামনারটেক, কামারপাড়া, কালিয়ারটেক, খায়েরটেক, ভাটুলিয়া, নয়ানীচালা ও রাজাবাড়ী গিয়ে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত পরিদর্শন করেন তারা।

এসময় উভয়ের উপস্থিতিতে ডিএনসিসির অঞ্চল-০৬ এর আঞ্চলিক কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের পরিচালনায় দিয়াবাড়ী, তারারটেক, নিমতলীরটেক ও রাজাবাড়ী এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা অন্তত ২০ টি স্থাপনার বিভিন্ন অংশ ভেঙে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নতুন ওয়ার্ডগুলোতে পুরোদমে রাস্তা ও ড্রেনেজের কাজ চলছে। যদিও আমরা চাইনা জনগণকে কষ্ট দিতে তবুও
নির্মাণ কাজ চলায় সাধারন মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে এই নির্মাণ কাজ এগিয়ে নেয়া হবে এবং হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। আপনারা খুব দ্রুতই এর সুফল পাবেন আশা করি।

এছাড়াও রাস্তা প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, যেহেতু সবাই দ্রুত রাস্তা নির্মাণ করার কথা বলছেন সেহেতু সবাই যদি রাস্তার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ছেড়ে না দেন তাহলে কাজের গতি বাড়ানো সম্ভব হয় না। তাই আপনারা রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা ছেড়ে দিয়ে সহযোগীতা করবেন বলে আমার বিশ্বাস। কিছু মানুষ রাস্তার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষকে কষ্ট পাচ্ছে, এটা হতে পারে না। কাজেই বেশি সংখ্যক মানুষের সুবিধার জন্য এসব যায়গা দখলমুক্ত করে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ করা হবে। আমি স্থানীয় সাংসদ ও সজল কাউন্সিলর সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও যুবসমাজ সঙ্গে নিয়ে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে রাস্তা নির্মাণ করবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি অবৈধ দখলদারদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে আহবান করছি আপনারা নিজ দায়িত্ব আপনাদের স্থাপনা সরিয়ে নিন। অবৈধ অংশটুকু ভেঙে রাস্তা ও ড্রেনেজের জন্য ছেড়ে দিন। জনগণের স্বার্থে সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করুন। কারন টেকসই উন্নয়নের জন্য ড্রেনে প্রায় ৬ ফুট পাইপ বসানো হচ্ছে। স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ড্রেন নির্মাণ করে তারপর রাস্তা নির্মাণ করা হবে। যা আগে কখনো পরিকল্পিতভাবে করা হয়নি। আমি আশা করি নভেম্বরের মধ্যে নতুন ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেনেজের সকল কাজ সম্পন্ন হবে। খুব দ্রুতই আমরা জলাবদ্ধতার সমস্যা স্থায়ী সমাধান করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দীন, ৫৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর কমলা রানী মুক্তা সহ অনেকে।

উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকার রাস্তায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা অন্তত ২০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি

Share This Article