চার দেশ থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টন সার কিনবে সরকার

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদকদেশের কৃষি খাতে ব্যবহারের জন্য রাশিয়া, চীন, সৌদি আরব ও মরক্কো থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে কেনা হবে আরো ৩০ টন সার। সব মিলিয়ে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩২৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ভার্চুয়ালি সভায় যোগ দেন।

সভায় রাশিয়া, চীন, সৌদি আরব ও মরক্কোর প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সার কেনার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরবের মাদেন ও বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এতে ব্যয় হবে ৩৮৯ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৯৫ ডলার।

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার জেএসসি ও বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৩৫ হাজার টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ১৫৪ কোটি ৯০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৩৬১ ডলার।

একইভাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস ও বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ২১৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪০ টাকা। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৫৮৫ দশমিক ৩৩ ডলার।

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চীনের বানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড ও বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৩৮৯ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৭৯৩ দশমিক ৭৫ ডলার।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কাফকোর কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪৭৪ ডলার। একই মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠান সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডইর কাছ থেকে ২০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ১৯১ কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা। প্রতি টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৭৯ দশমিক ৫০ ডলার।

এছাড়া সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেটের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৪৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪১ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৫ ডলার। অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ইবতেদায়ি (প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণী) স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এতে ব্যয় হবে ১২৭ কোটি ৬৬ লাখ ৩০ হাজার ১১৪ টাকা। ৪৮টি দরপত্রের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩৬৭টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হবে।



ভালো সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ ফিডটি অনুসরণ করুন


Google News

Share This Article